নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েকদিন নিম্নমুখী থাকার পর আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে পুঁজিবাজার। যে কারণে সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। বাজারের এই পরিস্থিতিতে আবারও কম দরের শেয়ারে মনোযোগ দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকালের বাজারচিত্রেও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
গতকালের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বেশি দরের শেয়ারের চেয়ে কম দরের শেয়ারেই আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। এ ক্ষেত্রে এগিয়েছিল সর্বোচ্চ ২০ টাকা দর রয়েছে এমন সব শেয়ার। গতকাল প্রায় ৫৬ শতাংশ বিনিয়োগকারীর আগ্রহের শীর্ষে ছিল ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা দরের শেয়ার। তারা এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। মূলত অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ করার প্রবণতা নিয়েই এ ধরনের শেয়ারের বিনিয়োগ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে যারা এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়চ্ছেন, তাদের বিনিয়োগে সতর্ক হওয়া দরকার। যদি ভালোমানের কোম্পানির শেয়ার কম দরে পাওয়া যায়, তা বিনিয়োগকারীদের জন্য অবশ্যই ভালো। কিন্তু দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কম দরে কেনাও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, লেনদেনে এগিয়ে থাকলেও বিমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর নি¤œমুখী রয়েছে। গতকালও এই খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতটির অবদান দেখতে পাওয়া যায় ৩৬ শতাংশ। আগের দিন যার পরিমাণ ছিল ৩৭ শতাংশ। এদিকে গতকালও ভালো অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৪ শতাংশের বেশি। ভালো অবস্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ডও। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকার কারণে দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখা যায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকালও বাড়তে দেখা গেছে ডিএসইর সূচক। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়তে দেখা যায় ২১ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান হয় চার হাজার ৯১৮ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি গতকাল লেনদেনও কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। এদিন ডিএসইতে মোট ৮৯২ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। ব্লক মার্কেটে মোট ১৪টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।