নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জের গুলিস্থান-বান্দুরা মূল সড়কের পাশে শাক্তা ইউনিয়নের সালাম চেয়ারম্যান রোডে অবস্থিত দুটি অবৈধ সিসা কারখানা ভেঙ্গে দিয়েছে উপজেলা প্রসাশন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল।
স্থানীয়রা জানান, কারখানা দুটির মালিক রঞ্জিত বাবু ও গাজী নামের দুই ব্যক্তি। এই দু’ব্যক্তি শাক্তা সড়কের পাশে একসঙ্গে দুটি সিসা কারখানাগুলো চালাচ্ছিল। কারখানাগুলোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব কারখানার পাশেই উপজেলা পরিষদ। বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে প্রতিনিয়ত শিশুসহ সবাই অসুস্থ হচ্ছে। ঘরের জানালা বন্ধ করে থাকতে হয় সব সময়।দিনের চেয়ে রাতে কালো ধোঁয়ার পরিমান বেড়ে যায়। প্রসাশনের এমন উদ্যোগে কারখানা দু’টিকে ভেঙ্গে দেয়ায় আমরা সাধুবাদ জানাই।
কারখানায় পোড়ানো নষ্ট ব্যাটারী থেকে এ্যাসিড ও প্লাস্টিক মিশ্রিত রাসায়নিক পদার্থ থেকে তৈরী ধোঁয়া দিনরাত শাক্তা ও বাস্তা ইউনিয়নের কাকালীয়া, অগ্রখোলা, রামেরকান্দা, গোয়ালখালীসহ এলাকায় প্রকট গন্ধ ও ধোঁয়ার সৃষ্টি করতো। এতে স্থানীয় লোকজন ছিলো অতিষ্ঠ।প্রতিদিন সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল । কারখানা থেকে নির্গত এমন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেছিলো। বিষাক্ত এ কারখানা গুলো ভেঙ্গে দেয়ায় আমরা খুশি। এখন এলাকার মানুষ মুক্ত ভাবে বাতাস নিবে।নতুন করে যেনো এসব কারখানা আর চালু না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারীর দাবী জানান।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, কেরানীগঞ্জে কোনো সিসা কারখানা থাকতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেরানীগঞ্জে কোন সিসা ফ্যাক্টরি থাকবে না বলে আমরা যে ঘোষণা দিয়েছে এটা তারই অংশ।কেরানীগঞ্জের শিশুরা সিসা মুক্ত পরিবেশে নিস্বাস নিবে। সবাই মুক্ত বাতাসে বেঁচে থাকবে। যতদিন না এগুলো শেষ হয় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে ।