নালিতাবাড়ী, শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে দশ বছর বয়সী কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত মূল আসামী গৃহকর্তা হারুন-অর-রশিদের (৩৫) ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা।
জানা গেছে, উপজেলার গাছগড়া গ্রামের দিনমজুর হযরত আলীর কিশোরী কন্যাকে আত্মীয়ের মাধ্যমে ঘাইলারা গ্রামের হারুণ অর রশিদ প্রায় পাঁচ মাস আগে গৃহকর্মী হিসেবে নেয়। নেওয়ার তিন মাস পর থেকে রাতের বেলায় পাশের কক্ষে ঢুকে গৃহকর্তা হারুণ দশ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের চেষ্টা ও একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে আড়াই লাখ টাকায় মিমাংসা করে প্রায় এক মাস আগে ওই কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে মিমাংসার আড়াই লাখ টাকার মধ্যে সিংহভাগ টাকা স্থানীয় দালালেরা ভাগ-বটোয়ারা করে নেয়। কিন্তু কেউ কেউ এ বাটোয়ারার অংশ না পাওয়ার বিরোধে কয়েকদিন আগে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে।
এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার স্থানীয় যুবকেরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সময় একাধিক অভিযান চালিয়ে গোপন করে রাখা কিশোরীকে পার্শ্ববতী হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে বুধবার উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বুধবার বিকেলে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্তা হারুণসহ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে মোট ৮ জনের নামে মামলা করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হারুণ অর রশিদ, তার বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, কিশোরীর ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম, স্থানীয় মিমাংসাকারী হাশমত আলী ও সিরাজ আলীকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার শেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়