নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জে জান্নাত(২০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া আব্দুলাহপুর চৌধুরীপাড়া এলাকায় বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় স্বামী ইমন মিয়াকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১ বছর আগে মাদারীপুরের ঝাউদি গ্রামের শওকাত মিয়ার বড় মেয়ে জান্নাতের সঙ্গে পাওয়া মুন্সিগঞ্জ জেলার পাঁচঘুইরাকান্দি এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইমনের সঙ্গে প্রেম সংগঠিত বিয়ে হয়। গত ২০ আগস্ট জান্নাত ও ইমন মিলে তেঘরিয়া চৌধুরীপাড়া আমির হোসেন মেম্বারের বাড়ীতে ভাড়া নেয়। ইমন ইলেট্রিসিয়ান হিসেবে কাজ করত। বিয়ের পর প্রায় সময়ই স্বামী ও স্ত্রী মাঝে ঝগড়া লেগে থাকতো। প্রতি রাতেই জান্নাতকে মারধর করতেন স্বামী ইমন।
বাড়ীর মালিক আমির হোসেন মেম্বর জানান, আজ বুধবার ভোর রাত ৫টার দিকে ইমন আমাকে ডেকে বলে আমার স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি ওদের ঘরে এসে দেখি জান্নাতের লাশ খাটের উপর একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে। যদিও ঘরের ভিতরে গলায় ফাঁস লাগানোর মতো কোন ব্যবস্থা ছিলোনা।
নিহতের খালা মালেকা বেগম অভিযোগ করে বলেন,তার বোনের মেয়ে জান্নাত দীর্ঘদিন তার কাছে ছিলো। এসময় ইমন জান্নাতের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেয়।এতে আমরা রাজি হইনি। কারন ইমন এর আগে আরো একটি বিয়ে করেছে। পরে পরিবারের অমতে জান্নাতকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে ইমন। বিয়ের পর জান্নাতের কাছে আগের স্ত্রীকে তালাক দেয়ার জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাবী করে। এ টাকার জন্য প্রায় সময়ই মারধোর করতো ইমন। খালা মালেকা বেগম অভিযোগ করেন,জান্নাতকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এস আই কুদ্দুস জানান,ভোর রাতে ৯৯৯ থেকে ফোন আসলে জানতে পারি যে,তেঘরিয়া এলাকায় এক নারী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এমন খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। নিহতের দু’হাতে কামড় ও পিটিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের বাবা শওকাত সরদার বাদী হয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।