কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলেন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো.ইকবাল হোসেন এর জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রিমহল এক প্রতারক নারীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিসন (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন, তিনি আরো বলেন স্থানীয় জনগনের ভালবাসায় আমি একাধারে দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনগনের প্রতি আমার ভালােবাসা ও আমাকে যেভাবে জনগন ভালবাসেন তা স্থানীয় একটি মহল সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। তাই আমাকে হেয় ও ঘায়েল করার জন্য তারা প্রতারনাকারী একটি নারীর সহায়তা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে।
তিনি আরো বলেন, বিগত কয়েক মাস আগে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের মিরেরবাগের যুব মহিলা লীগের নেত্রী রেখা ও মহিলা আওয়মীলীগের নেত্রী পুতুল আমার কাছে অভিযােগ করে জানান যে, মিরেরবাগে বহিরাগত একজন মহিলা স্থানীয় কয়েকক জনকে নানা ধরনের মিথ্যা অভিযােগ দিয়ে হয়রানী করছে বলে তাদের কাছে অভিযােগ আসছে। বিষযটি তখন খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে তাদেরকেই মিমাংসা করে দিতে বলি। কিন্তু ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযােগের পাল্লা দিনদিন ভারী হতে থাকে। তখনও প্রতারনাকারী ওই নারীর নাম আমি জানতাম না। কিন্তু মিরেরবাগের একজন নারী যখন সরাসরি আমার কাছে ওই নারীর বিরুদ্ধে ব্লাক মেইলিংয়ের অভিযােগে বিচার দাবী করেন। তখন জানতে পারি ওই নারীর নাম জনৈকা মাহমুদা।
তিনি ইতিমধ্যে এলাকার অনেক নিরোহ লোকদের ব্লাক মেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তার কর্মকান্ড দেখে তার বাড়ির মালিক তাকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে। মাহমুদা ওই মালিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ধরনের অসংখ্যা অভিযােগ আমার কাছে আসতে থাকলে তিনি বিষয়টি উপজেলা চেয়াররম্যান মহাদ্বয়কে অবহিত করেন। এক পর্যায় প্রতারনাকারী মাহমুদাকে তার অফিসে আসতে বলেন। তিনি আসলে আমি তাকে তার প্রতারনার বিষয়ে জানতে চেয়ে বলি ‘ আপনি সম্প্রতি ফাস্ট ফাইন্যান্স ব্যাংকের এমডি জনাব তুহিন রেজার নামেও মিথ্যা অপপ্রচার করে মামলা দিয়েছেন। আপনি তাকে চেনেন। তিনি বলেন, আমি দেখলে তুহিন সাহেব কে চিনতে পারবো। কিন্তু তুহিন সাহেবের সামনে নিয়ে গেলে তিনি তাকে চিনতে পারনেনি। তাকে কেন মিথ্যা মামলা জড়ানো হয়েছে জানতে চাইলে মাহমুদা বলেন, স্থাণীয় সোহেল ও সেলিমের প্ররোচনায় এসব কাজ করেছেন। তাদের এ চক্রের সাথে আরো রয়েছেন সুজন,নুরুল ইসলাম,সাথী,রেখা ,নাজমা,পারুল.মেহেদী রিপোন,মোহনা ওবিলকিসহ আরো অনেকেই। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা ও কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তখন বিষয়টি ভালভাবে তদন্ত করার জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই শাহাদাতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর প্রতারনাকারী মাহমুদা নিজে কোর্টে গিয়ে ২২ ধারায় মুখ জবানবন্দি দেন। এই ঘটনার কয়েক মাস পর আমি জানতে পারি ওই প্রতারনাকারী নারী আমার বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানয়োাট একটি গল্প । আসলে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল ওই প্রতারনাকারী নারীকে ব্যবহার করে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করতে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই মিথ্যা অপপ্রচার, মামলা ও হয়রানীর সুষ্ঠু বিচারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।