গ্যাসলাইনের লিকেজ ও এসি বিস্ফোরন দুটি কারণই মানতে নারাজ শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণে ৪৫ জন মানুষ পুড়ে যাবে, এটি সম্ভব না। এসি আমাদের অনেকের বাড়িতে আছে। এসি বিস্ফোরণ হলে বাইর থেকে হবে। কারণ এসির গ্যাস চেম্বার বাইরে থাকে। এখানে গ্যাস সংযোগ দেখলাম গেটের সামনে। ওটা দিয়ে গ্যাস ভেতরে ঢুকবে না। এখানে খোলা বাতাস, গ্যাস সেটির সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। ভেতরে যদি কিছু থাকে সেটি বের করার দায়িত্ব তদন্ত কর্মকর্তার। এখন প্রশ্ন হলো স্পার্ক করলে কে? মসজিদে আগুনটা জ্বালাল কে? এতগুলো মানুষ একসঙ্গে পুড়ে গেল কীভাবে? তবে এসি বিস্ফোরণে একসঙ্গে এতগুলো মানুষ পুড়ে যাওয়া অসম্ভব। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে প্লাস্টিক, রাসায়নিক তদন্তে অভিজ্ঞদের দ্বায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৫ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবন তো ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু যারা মারা গেছেন এবং যাচ্ছেন, আহত হয়েছেন তাদের জন্য একটা কিছুর ব্যবস্থা করা হবে। এগুলো ধাপে ধাপে করা যাবে। কিন্তু যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তারা শহীদের দরজা পেয়ে গেছেন। আমি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করব যারা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তাদের জন্য দোয়া করবেন।

প্রসঙ্গত, ৪ঠা সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title