ফরিদপুর প্রতিনিধি :: করোনার প্রভাব বিস্তাররোধে আজ থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে নিত্য প্রয়জনীয় (ঔষধ দোকান ব্যাতীত) সকল ধরনের দোকানপাট সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পযর্ন্ত খোলা রেখেছিল ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য ঈদের পর আজ থেকে ফের ভাঙ্গায় সরকারী নির্দেশনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময় চালু করা হয়। করনা সংক্রমনের এই ক্রান্তিকালে ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের সুধীজন।
তবে সচেতন নাগরিকদের অভিমত ঈদপূর্ব এক সপ্তাহে ভাঙ্গা বাজার খোলা থাকায় করোনার প্রভাব আশঙ্কাজঙ্ক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ভাঙ্গায়। ঈদ শুরু থেকে গতকাল (১০জুন) পর্যন্ত ভাঙ্গা থানার ও হাইওয়ে থানার ২৩জন পুলিশ সদস্য, একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যংকের কর্মচারী, হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীসহ মোট ১৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাজারের একজন তরুণ ব্যবসায়ীসহ মারা গেছেন তিনজন। দিন দিনে আক্রানের সংখ্যা বৃদ্ধিতে রীতিমত এলাকার জনগণের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে চলমান পরস্থিতি বলতে গেলে অনেকটাই তাদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেছে। এজন্য তাদের উপদেশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলকে চলতে হবে এবং করোনায় আক্রান্তরা নিজেদের নিরাপদে রাখতে এবং তার পরিবারসহ অন্য সকলকে নিরাপদে থাকার জন্য হোম কোয়ারেনটেইনে থাকার পরামর্শ রেখেছেন।
এইক্ষেত্রে অভিযোগ, করোনায় আক্রান্তরা অনেকেই নিজেদের ঘরে থাকছেন না এবং অনেকেই নিজের পরিচয় গোপন করে করোনা পরিক্ষা করার পাশাপাশি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরফলে ভাঙ্গায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে অভিমত উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। তাদের মতে আগে নিজেদের সচেতন হতে পারলে তবেই আক্রান্তর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে আজ থেকে ফের ভাঙ্গায় সীমিত আকারে লকডাউনে ঘোষণায় দুপুরে ভাঙ্গা বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাজারের বিভিন্ন দোকানঘর বন্ধ করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যার পরে কেউ যাতে দোকান খুলতে না পারে এই বিষয়টির উপর উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নজরদারী রাখার দাবী জানিয়েছেন অনেকেই। কারন হিসাবে অনেকেই জানান,সন্ধ্যার পরে বাজারের কোন মনিটরিং না করার ফলে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা মুনাফার আশায় দোকানের ভীতরে ক্রেতা রেখে বাহির থেকে দোকানের সার্টার নামীয়ে (নিজেরা পাহারা দিয়ে ) বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করেন। রমজান মাসের বিভিন্ন সময়ে পুলিশ তাদেরকে হাতনাতে ধরার পর বাজার কমিটি ফের দোকান না খোলার প্রতিশ্রতি দিলে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল থেকে জানা গেছে। তবে উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন হাঁট বাজারে সন্ধ্যার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে এই বিষয়টিও প্রশাসন খতিয়ে দেখবে বলে মনে করেন ভাঙ্গার সাধারণ জনগণ।