চাঁদপুর প্রতিনিধি :দুই মাস নিষেধাজ্ঞার ফলে দীর্ঘ অলস সময় কাটানোর পর নদীতে মাছ ধরতে নামছে সরকারের তালিকভূক্ত প্রায় ৫২ হাজার জেলে। এ কারণে স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলে পরিবারগুলোতে। কর্তৃপক্ষের দাবি জাটকা রক্ষার কর্মসূচি সফল হওয়ায় এবছর ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।৩০ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে, মার্চ-এপ্রিল দুইমাস ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল।তাই আজ শুক্রবার (১মে) থেকে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে শুরু করবে চাঁদপুর হাইমচর ও মতলবের জেলেরা।
এ ব্যাপারে ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান এক সাক্ষাতকারে জানান, জাটকা রক্ষার কর্মসূচি সফল হওয়ায় এ বছর ইলিশের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে ইলিশের অভয়াশ্রমের পরিধিও বেড়েছে। জাটকা সংরক্ষণের জন্যে সরকার দু’মাস চাঁদপুরসহ দেশের আরও কয়েক স্থান অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। এ সময় নদীতে যে কোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়ে ছিলো। নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশসহ অন্য মাছ ধরতে জেলেরা তাই প্রস্তুত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এবার পানির গুণাগুণ ও খাদ্যের উপাদান অনেকটাই ভালো রয়েছে। করোনার কারণে জাটকা রক্ষা কর্মসুচি কিছুটা সীমাবদ্ধতা ছিল। তবুও উৎপাদন ব্যাহত হবে না । দেশে গেলো অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। যেখানে ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল এক লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন । চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন হওয়ার কথা। আগামী ৫ বছরে ইলিশের উৎপাদন বাড়বেই।এ ছাড়াও মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, শুধু ইলিশই নয়, দেশে নদ-নদীতে সবধরনের সামুদ্রিক মাছ যেমন পাঙ্গাস, লাল চৌওয়া, চিংড়ি, বাইলাসহ সব ধরনের মাছ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় সরকার প্রতি বছরের অক্টোবর মাসে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ও জাটকা ইলিশ রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দু’ মাস নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মেঘনা নদীর মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজেন্ডার পর্যন্ত একশ কিলোমিটার এবং পদ্মার ২০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় । যার ৬০ কিলোমিটার পড়েছে চাঁদপুর হাইমচর এবং মতলব উত্তরেই এলাকায় ৩০ কিলোমিটার।