রাজশাহী শিরোইল স্টেশনের তেলের ডিপো থেকে সরকারী তেল চুরির সময় তিনজন তেল চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের পাশে তেলর ডিপো থেকে তেল চুরীর সময় তাদের আটক করা হয়। এ সময় অনুমানিক সাড়ে ৫ হাজার লিটার তেলসহ পদ্মা ওয়েল কোম্পানীর ট্রাঙ্ক লরি (রাজশাহী-০১-০০০৩) ও দুটি তেল আনলোড মেশিন জব্দ করে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার নূরে আলমও সঙ্গীয় সদস্যরা। জব্দকৃত ট্র্যাঙ্ক লরির মালিক পদ্মা ওয়েল কোম্পানীর এজেন্ট রবিউল সরদার। তিনি রাজশাহী জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি ও ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক বলে জানা গেছে। তিনি দির্ঘদিন যাবত রেলেও তেল চুরির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
আটককৃতরা হলো: যমুনা ওয়েল কোম্পানীর রাজশাহী ডিপো ইনচার্জ মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮), একই কোম্পানীর কর্মচারী মুকুল আলি (৩৫) ও ট্রাঙ্ক লরির হেলপার ইলিয়াস আলী (৩৮)। পলিয়েছে লরি চালক ও যমুনা ওয়েল কোম্পনীর অফিস সহকারী আশফাকুল। এছাড়াও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের এস.এস.এ.ই/ইলেক আবুল হাসান।
নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার নূরে আলম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের এস.এস.এ.ই/ইলেক আবুল হাসান ডিপো থেকে সরকারী তেল যমুনা ওয়েল কোম্পানীতে চুরি করে বিক্রি করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যমুনা ওয়েল কোম্পানীর তিনজন কর্মচারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় তেল বহনকারী ট্র্যাঙ্ক লরিটিও জব্দ করা হয়। তবে রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের এস.এস.এ.ই/ইলেক আবুল হাসান পালিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা করছে।
জানতে চাইলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের (জিএম) মিহির কান্তি গুহ জানান, তেল চুরির বিষয়টি আমি শুনেছি। রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের এস.এস.এ.ই/ইলেক আবুল হাসানকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ের ট্রেনের জন্য বরাদ্দ তেল চুরির সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে অপরাধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।