নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বদলে যাচ্ছে মানুষের আচার-আচরণও। সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারানোর ভয়ে কমে যাচ্ছে মানবিক বোধও। সেজন্যই কিনা গোটা বিশ্বের নানা প্রান্তে এখন নানা হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটছে।এমন টাই ঘটলো রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দা(রহমালিরচর) গ্রামে।
কেরানীগঞ্জ কে ভাবা হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা করোনা হট-স্পর্ট। লক ডাউন করা হয়েছে কেরানীগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা। আর যে সকল এলাকা এখনো লক ডাউন ঘোষণা করা হয়নি তারাও আছে ভীতিতে। যে কোন সময় হয়ে যেতে পারে লক ডাউন। তবে লক ডাউন না হলেও সব এলাকার লোক জনই নিজ উদ্যোগ মানুষের অবাদ বিচরণ সীমিত করেছে। পুলিশের সাথে কাঁধে কাঁদ মিলিয়ে কাজ করছে সেচ্ছাসেবীরা। আর এরই মাঝে ঘটে গেলো এক অপ্রীতিকর ঘটনা।
গত ১০ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেলে এলাকাবাসী জানতে পারে তাদের গ্রামের জনৈক আব্দুল আলীর বাড়ীতে এক জন অপরিচিত লোক অবস্থান করছেন। এলাকাবাসীর আপত্তি মুখেও কোন প্রকার সেফটি ছাড়াই সে মহল্লায় ঘুরাঘুরি করছিলো। ব্যাপারটি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব ও সেচ্ছাসেবী পিয়ার আলী মাদবর জানলে তার বাড়ীতে গিয়ে তাকে ঘরে থাকতে নতুবা এলাকা ছাড়তে বলেন। পরে দুই পক্ষের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল আলীর ছেলে শাহ সুলতান তার হাতে থাকা রড দিয়ে পিয়ার আলীর মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে রক্তক্ষরণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনদের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করে উত্তেজিত জনতা তাদের উপর চড়াও হয়। অত:পর পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এতে আব্দুল আলীর চার ছেলে আহত হয়। আহতরা হলো শাহপরান (৩২), শাহ আলী মাষ্টার(২৫), শাহ সুলতান(২৭) ও শাহ আলম(১৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী জহির উদ্দীন জানান, করোনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল আলীর এক ছেলে পিয়ার আলীকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তার মাথায় গর্ত হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করে।
এ বিষয়ে আব্দুল আলী জানান, পুর্ব শত্রুতার জেড়ধরেই তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে পিয়ার আলীর স্ত্রী জানান, আমার স্বামী কে খুন করার উদ্যেশ্য মাদক কারবারিরা আমার স্বামীর মাথায় আঘাত করেছে। আমার স্বামীর মাথায় ১৪ টি শিলাই হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজন ঢাকা থেকে আসা যুবকটিকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলছিলেন। কিন্তু সে স্থানীয় লোকজনের কথা না শুনে বাহিরে ঘোরাঘুরি করছিল। এই নিয়ে দুই পক্ষের তর্কাতর্কি ও ঝগড়া হয়ে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কোন প্রকার অভিযোগ বা মামলা হয়নি। সকলেই মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে যার যার অবস্থানে অবস্থান করছে