১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ইলিশের ৫টি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
জাটকা পূর্ণাঙ্গ ইলিশে পরিনত হওয়া নিশ্চিত করতে মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিবছর নির্দিষ্ট দুই মাস নির্দিষ্ট ৬টি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটারে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা পালিত হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অপর ৫টি অভয়াশ্রমে আজ ১ মার্চ থেকে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার শাখা-প্রশাখা নিয়ে গঠিত ষষ্ঠ অভায়াশ্রমে গত বছর (২০১৯) থেকে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অভয়াশ্রমের ষষ্ঠটির সীমানা হচ্ছে- বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীর হবিনগর পয়েন্ট থেকে মেহেন্দিগঞ্জের বামনীরচর পয়েন্ট পর্যন্ত ১৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার, মেহেন্দিগঞ্জের গজারিয়া নদীর হাটপয়েন্ট থেকে হিজলা লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার, হিজলার মেঘনার মৌলভীরহাট পয়েন্ট থেকে মেহেন্দিগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনার দক্ষিণ-পশ্চিম জাঙ্গালিয়া পয়েন্ট পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার।
এছাড়া অপর ৪টি অভয়াশ্রম হলো চর ইলিশার মদনপুর থেকে ভোলার চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহাবাজপুর চ্যানেলের ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চররুস্তুম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এবং শরীতপুরের নরিয়া থেকে ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত পদ্মার ২০ কিলোমিটার নদ-নদী।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে আরো জানা যায়, অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্যে হলো জাঁটকা রক্ষা করে বড় ইলিশে পরিনত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্য মাছ আহরনের অজুহাতে জেলেরা নদীতে নেমে যাতে জাটকা নিধন করার সুযোগ না পায়, সেজন্য অভয়াশ্রম জলসীমার মধ্যে সব ধরনের মাছ আহরন নিষিদ্ধ।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলে পাড়াগুলোতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালানো হয়েছে। প্রনেদনা হিসাবে তালিকাভূক্ত জেলে পরিবারগুলোকে এই সময়ে ৪০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে।