মেয়র হিসেবে চলমান ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ বাজেট ঘোষণা করলেন ডিএসসিসি মেয়র

ঢাকা,ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন মেয়র হিসেবে চলমান ২০১৯
-২০ অর্থবছরে শেষ বাজেট ঘোষণা করেছেন।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে ডিএসসিসি মেয়র এই বাজেট ঘোষণা করেন।

ডিএসসিসি নগর ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন সাঈদ খোকন। বাজেট ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। এসময় ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রতিবেদক কামরুন নাহার তার প্রশ্নে বলেন, আপনি (খোকন) বক্তব্যে দাবি করেছেন যে, আপনার এলাকার ৯০ শতাংশ সড়ক চলাচলের উপযোগী। কিন্তু, বাস্তবতা ঠিক উল্টো।’ এসময় প্রশ্নকর্তাকে থামিয়ে দিয়ে মেয়র বলে ওঠেন, ‘আপনি প্রমাণ করতে পারলে যা চাইবেন তাই পুরস্কার দেবো।’

প্রতিবেদক তখন বলেন, ‘আমার পুরস্কার লাগবে না। আমি কাঠালবাগান, কলাবাগান এলাকায় থাকি। সেখানে প্রায় পুরো এলাকাতেই সড়কের বেহাল দশা। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ ও গর্ভবতী নারীদের রিকশা নিয়েও চলাচল করতে কষ্ট হয়।’

মেয়র এ অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে বক্তব্য দিলে কামরুন নাহার আবার বলে ওঠেন, ‘আপনার কাউন্সিলর ওই এলাকায় উন্নয়নের জন্য কোনো বরাদ্দ পান না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।’ মেয়র বলেন, ‘এমনটা হতে পারে না। এখানে ওই এলাকার কাউন্সিলর আছেন। তাকে এখনই জিজ্ঞেস করা হোক।’

তাৎক্ষণিক ওই এলাকার কাউন্সিলর (ডিএসসিসি-১৭) সালাউদ্দিন আহমেদ ঢালী সাংবাদিকের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, কথা সত্য। আমার এলাকায় রাস্তাঘাট উন্নয়নে বরাদ্দ পাচ্ছি না।

কাউন্সিলরের এ বক্তব্যে উত্তেজিত হয়ে সাঈদ খোকন ওই এলাকার (অঞ্চল-১) নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এর কারণ জানতে চান। একই সঙ্গে তাকে মৌখিকভাবে কারণ দর্শানোরও নোটিশ জারি করেন। কারণ সন্তোষজনক না হলে ওই প্রকৌশলীকে বরখাস্তের জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানকে নির্দেশও দেন তিনি।

একই অনুষ্ঠানে মেয়রের উদ্দেশে একটি অনলাইন পত্রিকার প্রতিবেদক শাহেদ শফিক ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন রাখেন। সিটি করপোরেশনের মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায় না। তাহলে মেয়র সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কীভাবে কাজ করবেন- এমন প্রশ্ন করতেই মেয়রের উপস্থিতিতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন কাউন্সিলররা। প্রশ্নকারী সাংবাদিকের প্রতি অসৌজন্যমূলক ও উদ্ধত আচরণ করেন তারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের অডিটোরিয়াম থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। মারমুখী আচরণে একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত হন কাউন্সিলররা। এসময় ইউটিলিটি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ডুরা’র সভাপতি মশিউর রহমানসহ অন্যরা মেয়রের উপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের এমন আচরণের প্রতিবাদ করেন।

পরে, সাঈদ খোকনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কাউন্সিলরদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন, তাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে এমন আচরণ কেন করছেন? তারা আমাদের অতিথি, আমাদের নিমন্ত্রণে এসেছেন। তাদের সঙ্গে এমন আচরণ আপনারা কীভাবে করতে পারেন?

এমন পরিস্থিতির পর সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক স্থগিত করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title