প্রাইম টিভি বাংলা : সাংবাদিক সাগর সারোয়ার এবং মেহেরুন রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে প্রতীকী অনশন কর্মসূচী পালন করেছে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এড.মাহবুবুর রহমান মাসুম,সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সোজাসাপটার সম্পাদক আবু সাউদ আল মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম,সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেইন স্মিথ, নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মো: শহীদুল্লাহ রাসেল, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও লেখক-কলামিস্ট মীর আব্দুল আলিম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, নারায়নগঞ্জ জেলার সভাপতি মাহমুদ হাসান কচি, সাধারন সম্পাদক এনামুল হক সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামলসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ।
অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ৮ বছরে ৭১ বার সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেরিয়েছে। একটি রাষ্ট্রের জন্য এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কি হতে পারে? যেখানে সাংবাদিকরা সমাজের বিভিন্ন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কাজ করে জনসাধারণের কথা তুলে ধরে দেশ থেকে বিশ্বে। কিন্তু এই তাদের বিচারের ক্ষেত্রে যদি এত বিলম্ব হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থান কোথায় তা ধারণা করা যায়।
কর্মসূচিতে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে ৫ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর এখন পর্যন্ত ঘটনা তদন্তের বিষয়ে সরকার ও তদন্ত সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকারী প্রেসনোট জারি করতে হবে। তদন্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডিআইজি কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে ৫ সদস্যের একটি পরার্মশক ও তদারক কমিটি গঠন করতে হবে।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদকে প্রতিমাসে অন্তত একবার জানাতে হবে। ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাগর-রুনির খুনিদের গ্রেফতার করে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়া সাগর-রুনি ছাড়া বিচারবর্হিভূত সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার অপরাধে জড়িতদের তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিচার করতে হবে।