নতুন বছরের প্রথম দিনে হাতে হাতে নতুন বই, চোখে মুখে আনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন বছরের প্রথম দিনে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে আনন্দোৎসবে শুরু হয়েছে বই উৎসব। প্রাথমিক ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই সব বই হাতে পাচ্ছে। বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও।

সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাথমিক পর্যায়ের বই উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সারাদেশে এই আনন্দ আয়োজন চলবে বিকেল পর্যন্ত।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির শতভাগ বই উপজেলায় পৌঁছে দিয়েছেন তারা। উপজেলা শিক্ষা অফিস সমন্বয় করে বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক বিলি করছে। তবে অষ্টম-নবমের ২০-২৫ শতাংশ বই এখনো ছাপা হয়নি। সেগুলো চলতি মাসেই ছাপা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ২ কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার ৬ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬০৬টি বই তুলে দিচ্ছে সরকার।

এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৯ জন, প্রাথমিকের ১ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৪ জন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৪ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে।

বই উৎসবের সূচনা হয় ১৩ বছর আগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিন থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার প্রচলন শুরু করেন ২০১০ সালে, যা নাম পেয়েছে ‘বই উৎসব’।

ক্ষমতাসীন সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম অনুসরণে সব ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছে।

শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যপুস্তককে আকর্ষণীয় করার জন্য ২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হোয়াইট পেপার, কভার পৃষ্ঠা, হিট থার্মাল পারফেক্ট বাইন্ডিংসহ চার রঙে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে বলে উৎসবে জানানো হয়।

হাতে হাতে নতুন বই, চোখে মুখে আনন্দ
২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিকস্তেরর পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে।

বই উৎসবে দেশের স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা ছাড়াও অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title