মহাসচিবসহ বিএনপির শীর্ষ ৭ নেতা বিদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার পতনের একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৭ শীর্ষ নেতা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে তিনজন রয়েছেন সিঙ্গাপুরে, থাইল্যান্ডে ২ জন, বাকি দুইজন লন্ডন ও ভারতে।

বিট্রিশ-পাকিস্তানিদের চেয়েও বেশি লুট করেছে আওয়ামী লীগ: মির্জা আব্বাস
ফখরুল ছাড়াও বিদেশে অবস্থান করা ৬ শীর্ষ নেতা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ভারতে রয়েছেন। গত ২৭ জুন থেকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তবে ২৪ আগস্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ও ২৬ আগস্ট মির্জা আব্বাসের সিঙ্গাপুরের যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে নানা আলোচনার। বিশেষ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও মির্জা ফখরুলের সিঙ্গাপুরে অবস্থান নিয়ে বেশি গুঞ্জন চলছে। যদিও দল ও পরিবারের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য তাদের বিদেশ যাওয়া। তবে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিদেশে অবস্থান নিয়ে মাঠের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন রাজপথে ব্যস্ত সময় পাড় করছে বিএনপি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়মিত যাচ্ছেন নেতারা। টানা কর্মসূচি পালনে শরীরের উপরের ধকল গেছে। আগামীতে আরো কর্মসূচি আসবে। সেপ্টেম্বরের শেষে কঠোর আন্দোলনের কথাও ভাবা হচ্ছে। কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার আগে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিচ্ছে নেতারা। কারণ তখন আরো বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে।

শীর্ষ নেতাদের বিদেশে অবস্থান নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, কেউ চিকিৎসার জন্য, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণে দেশের বাইরে যেতে পারেন। আন্দোলন একটা যৌথ প্রচেষ্টা। চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। কোনো কারণে দুই-একজন দেশের বাইরে থাকলে আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়বে না।

আগে থেকেই থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনিও চিকিৎসাজনিত কারণে বিদেশে অবস্থান করছে বলে দল থেকে জানানো হয়েছে।

২৬ জুলাই দুর্নীতির একটি মামলায় তার নয় বছরের কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এরপর থেকে আর দেশে আসেননি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। ৭ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হন তিনি।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিএনপির স্থায়ী কমিটির আকার ১৯ জনের। বর্তমানে ১৪ সদস্য দিয়ে চলছে কমিটি। এর মধ্যে ছয় জনই এখন দেশের বাইরে। শর্তসাপেক্ষ মুক্তিতে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া, অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। জমির উদ্দিনও স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনিয়মিত। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে টানা বিছানায় শয্যাশায়ী রফিকুল ইসলাম মিয়া। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় রয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title