বৃহস্পতিবার ২১ বছর পর খুলছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: অবশেষে ২১ বছর ধরে বন্ধ থাকা ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানাটি চালু হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট)। বেসরকারিভাবে উদ্বোধনের খবরে উচ্ছ্বসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে কারখানাটি চালুর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এ জেলার মানুষের।

লোকসানের অজুহাতে ২১ বছর আগে সরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানাটি। তবে দীর্ঘদিন পর যেন আবারো আশার আলো দেখছেন সবাই। চালু হতে যাচ্ছে কারখানাটি। দুমাস আগে রেশম বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কারখানাটি লিজ নেয় জেলার সুপ্রিয় গ্রুপ।

বর্তমানে কারখানার মূল ফটকসহ বাইরে ও ভেতরে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। মেরামত হচ্ছে সব যন্ত্রপাতিও। শাড়ি পাঞ্জাবি পর্দাসহ পনেরো ধরনের কাপড় উৎপাদনে এরই মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে রেশম কারখানায়।

রেশম উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জমিতে নির্মাণ হয় কারখানাটি। জাতীয়করণ করা হয় ১৯৮১ সালে। পরে ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দেয় কারখানাটি।

তুত চাষি সিরাজুল ইসলাম ও শ্রমিক লিয়াকত আলী জানান, বেসরকারি উদ্যোগে হলেও কারখানাটি চালু হচ্ছে। এটা অত্যন্ত খুশির খবর। নিয়মিত কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা। চাষিরা আগে ভোগান্তির শিকার হতো। এখন হাতের কাছে কারখানা। আমরা চাই সবার সহযোগিতায় যেন কারখানাটি চালু থাকে।

ঠাকুরগাঁও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবরক্ষক বেলায়েত হোসেন প্রধান বলেন, এখানকার মানুষের প্রাণের সঞ্চার ঘটতে যাচ্ছে কারখানাটি পুনরায় চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে। আমরা রেশম বোর্ডে কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সবাই খুশি। কারখানাটি চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। যন্ত্রপাতিগুলো এখন ভালো থাকবে উৎপাদনের মাধ্যমে।

ঠাকুরগাঁও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুব-উল-হক বলেন, এ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে। কারখানাটি চালুর মধ্য দিয়ে। এ আনন্দ সবার। এখন কারখানাটি যেন বন্ধ না হয় সে বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

স্থানীয় উদ্যোক্তা মো. বাবলুর রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান ও ব্যবসায় সফলতার লক্ষ্যে কারখানাটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদিত কাপড় বাজারজাতে প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। তাহলে আশা করছি কারখানাটি বন্ধের কোনো আশঙ্কা থাকবে না।

কারখানা চালু হলে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ কারখানার মাধ্যমে রেশমের সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title