পুলিশের আশ্বাসে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় ও পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে এই ঘোষণা দেন অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে মালিক সমিতির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গিয়েছিলাম আলোচনা করতে। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনো ধরনের মামলা দেয়া হবে না, নীতিমালা হওয়ার আগ পর্যন্ত। তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন, যেহেতু এই মুহূর্তে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারির মতো রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে, তাই এই সময়ে যেন আমরা কোনো আন্দোলনে না নামি।

গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যানও আমাদের জানিয়েছেন তিন মাসের মধ্যে নীতিমালা করে দেয়া হবে। এই দুই আশ্বাসে আমরা আপাতত আমাদের ধর্মঘট স্থগিত করছি। যদি আগামী তিন মাসের মধ্যে নীতিমালা না হয় তখন আর সময় দিয়ে নয়, সরাসরি ধর্মঘটে নেমে যাব।

এর আগে রোববার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফার সই করা এক চিঠি বলা হয়, সেবাখাতে পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্সের আয়করমুক্ত নীতিমালাসহ ছয় দফা দাবিতে আদায়ে সারাদেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলা বন্ধ থাকবে।

তাদের দাবিগুলো হলো- সেবা খাতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রাইভেটকারের আয়কর বিআরটিএ কর্তৃক (এআইটি) না নেয়া, অ্যাম্বুলেন্সের জাতীয় নীতিমালা করা, টোল ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল, হাসপাতালগুলোতে পার্কিং সুবিধা, রোগী থাকা অবস্থায় দ্রুত গ্যাস ও সড়কে হয়রানিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করা।

সমিতির নেতারা বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন না। সরকারবিরোধী আন্দোলনও করছি না। আমরা মানবসেবামূলক কাজ করে থাকি। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হোক। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, তাহলে আমরা কর্মসূচি বাতিল করে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল স্বাভাবিক রাখবো।

তিনি বলেন, হাসপাতাল ও ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে আয়কর নেওয়া হয় মাত্র ৫২ টাকা। অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অতীতে নেওয়া হতো ৩০ হাজার টাকা, এ বছর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সেবা খাতে একই দেশে দুই ধরনের আইন কী করে হয়, সেটা আমাদের বোধগাম্য নয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title