নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিপিডি কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
জেট নিয়ে সিপিডির বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া শুক্রবার সকালে জানানো হবে বলে এ সময় জানান সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং সমস্যার প্রেক্ষিতে আমাদের যে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো বাজেট প্রস্তাবনায় ঘোষণা করা হলো, সেই সূচকে যে অনুমিতি ব্যবহার করে করা হয়েছে এবং সেই সূচকগুলোর যে প্রাক্কলন করা হয়েছে সেগুলো আমাদের কাছে মনে হয়েছে বাস্তবতা বিবর্জিত এবং সেগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়।
তিনি জানান, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের লাগাম টেনে ধরার জন্য যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে, যে সমাধান দেওয়া হয়েছে সেগুলো কিন্তু সম্ভব না। সেগুলোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির হার যে তারা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলছেন, সেগুলো করা সম্ভব হবে না। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেখানে আমদানি করা কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে কর রেয়াত দিলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত। কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
ড. ফাহমিদার বলেন, করমুক্ত আয়সীমা আমরা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। এখানে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ করা হয়েছে, সেটি খুব ভালো। কিন্তু তার পাশাপাশি আয় যাই হোক দুই হাজার টাকা কর আরোপের বিষয়টি অবিবেচনাপ্রসূত মনে হয়েছে। এই দুই হাজার টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, এছাড়া আমাদের অর্থনৈতিক সংস্কারের যে কথা ছিল সেগুলোর বিষয়ে বাজেটে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। এই বাজেট এমন একটা সময় প্রণয়ন করা হয়েছে যখন আইএমএফের বিভিন্ন শর্ত আছে। বাজেট উপস্থাপনায় তিনবার আইএমএফের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শর্তের বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। তবে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন যে লক্ষ্যমাত্রা আছে সেখানে সেই শর্তগুলো পরিপালনের ক্ষেত্রে কিছুটা ইঙ্গিত রয়েছে।