সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আগামী ৩ মে থেকে শুনানি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য প্রাপ্ত আবেদন নিষ্পত্তিতে আগামী ৩ মে থেকে শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

চার ধাপে এই শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো: জাহাংগীর আলম। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সচিব বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে যে ৩০০টি আসন রয়েছে, সেই আসনগুলোর খসড়া প্রকাশ করেছিলাম। সেই গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে ১৯ মার্চের ভেতরে আপত্তিগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ১৮৬টি আবেদন পেয়েছি। এই আপত্তিগুলো শুনানি করে নিষ্পত্তি করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করতে কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে হয়েছিল। সেই সভাতে চার দিনে আপত্তিগুলো নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের যে আবেদনগুলো হয়েছে সেই আবেদনগুলো ৩ মে, রাজশাহী অঞ্চলের আবেদন ৭ মে, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের শুনানি ১১ মে এবং বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেদন নিষ্পত্তির তারিখ হয়েছে ১৪ মে। আবেদনের এসব শুনানি হবে নির্বাচন কমিশনের বেজমেন্টের সভাকক্ষে। এর জন্য আমরা একটা গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে দেব।

জানা গেছে, সারাদেশ থেকে সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত ১৮৬ দাবি-আপত্তির আবেদন ইসিতে জমা পড়েছে। সীমানার আপত্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে। রাজশাহীতে ৪৩টি, বরিশালে ২৯টি, ঢাকা অঞ্চলে ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এ ছাড়া খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে আবেদন পড়েছে। অন্যদিকে সিলেট ও রংপুর অঞ্চল থেকে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি।

প্রথম দিকে প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতা বজার রাখার কথা বলেছিল ইসি। এতে শুধু প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে গেলেই ইসিকে ৪৫ আসনে হাত দিতে হতো। পরে সমালোচনা ও মামলার ভয়ে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে ইসি। পরে নূরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া সংসদীয় আসনের সীমানা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া সীমানা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯ মার্চ পর্যন্ত সংক্ষুব্ধরা এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন।

সীমানা সংক্রান্ত প্রাপ্ত আবেদনের শুনানি শেষে জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করতে চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title