আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। ২০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার একজন আফগান কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স
তালেবানের একজন প্রাদেশিক তথ্য কর্মকর্তা বলেছেন, খাইবার পাসের কাছে তোরখাম সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই সীমান্ত দিয়ে সমস্ত বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড আপাতত বন্ধ থাকবে।
সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের কারণ হিসাবে আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান সিদ্দিকুল্লাহ কুরাইশি বলেছেন, ‘পাকিস্তান তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। তারা ট্রানজিট, অসুস্থ মানুষ এবং যাত্রীদের জন্য সুবিধা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।’
তিনি সমস্যাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি। তবে উল্লেখ করেছেন যে উভয় পক্ষই একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কথা বলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া কোনও সহিংস সংঘর্ষের খবর অস্বীকার করেছেন।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এছাড়া পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং সরকারের মুখপাত্রদের মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে এই অঞ্চলের দুই পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু গুলি বিনিময় হয়েছে।
পাকিস্তানের ল্যান্ডি কোটালের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী শিনওয়ারি জানিয়েছেন, রোববার গভীর রাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার ভোরে গোলাগুলি শুরু হয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘সকালে যখন আমরা গুলির শব্দ শুনি, তখন আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম যে দুই দেশের সেনারা হয়তো যুদ্ধ শুরু করেছে।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তান এবং চারদিকে স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের প্রধান স্থান হল তোরখাম সীমান্ত পয়েন্ট।