বিশেষ প্রতিনিধি: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় আট ঘণ্টার মতো দেশের অর্ধেক অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।
বুধবার দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ছুটির দিনেও তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিপর্যয়ের ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের অর্ধেক অঞ্চলের বিদ্যুৎ চলে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে রাত ১০টা বেজে যায়।এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে জনজীবনে নাভিঃশ্বাস ওঠে। বাসাবাড়িতে পানির সঙ্কট দেখা দেয়, হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তি চরমে ওঠে।
সরকার এই বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এই তদন্ত কমিটির সঙ্গে বুয়েটের একজন প্রতিনিধিকেও যুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার সকালে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করে।
দীর্ঘ তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মেশিনারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় সেখান থেকে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় তদন্ত কমিটির
প্রধান পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরী জানান, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে দেশের কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার কন্ট্রোল রুমগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সবকটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কী কারণে বিপর্যয় দেখা দেয়, তা জানা যাবে।
ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে সংস্থার পরামর্শক শামছুর জোহা, নির্বাহী প্রকৌশলী আরেফিন সিদ্দিক, সাইদুল ইসলামসহ তদন্ত কমিটির ৬ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।