অনলাইন ডেস্ক: আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বহুল প্রতীক্ষিত বার্ষিক সম্মেলন বা ডিসি সম্মেলন। চলবে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সম্মেলনে যোগ দিয়ে পারছেন না ২ বিভাগীয় কমিশনার ও ৫ জেলা প্রশাসক।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর নতুন ঢেউয়ের কারণে এই সম্মেলন ইতিমধ্যেই পাঁচদিন থেকে কমিয়ে তিনদিন করা হয়েছে এবং তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভা কক্ষের পরিবর্তে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাত্র ১৫টি মন্ত্রণালয়ের ১৫ জন মন্ত্রী ও সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও, সম্মেলনে যোগদানের আগে ডিসিদের স্ব-স্ব গানম্যান, ড্রাইভার এবং সঙ্গীদের সঙ্গে আরটিপিআর পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এ সময় খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান যে, এখন পর্যন্ত দুই বিভাগীয় কমিশনার এবং পাঁচজন ডিসি কোভিড -১৯ পজিটিভ হয়েছেন। তারা হলেন, রাজশাহী ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার এবং কক্সবাজার, রাজশাহী, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চুয়াডাঙ্গার ডিসি।
করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিড -১৯ বিবেচনা করে সম্মেলন স্থলটি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্থানান্তরিত করেছেন আয়োজকরা। সেখানে ৭০০ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও মাত্র ৬৪ জন লোককে অনুষ্ঠানস্থলে যেতে দেওয়া হবে। এই সম্মেলনে অনেক মন্ত্রণালয়কে বিভিন্নভাবে স্থান দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামীকাল সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন এবং বুধবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতির ভার্চুয়ালি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
কোভিড-১৯, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন প্রয়োগ, স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য হ্রাস ও কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম, আইসিটি ও ই-গভর্নেন্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ভৌত অবকাঠামো এবং সম্মেলনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।