তারুণ্যে প্রাণবন্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের এখনই সময়: জয়
অদম্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের এখনই সময় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে নিজের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে এ কথা লেখেন তিনি।
শেখ হাসিনার ছেলে জয় লিখেছেন, “তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে সময়ের সাথে সাথে আরও প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, কিন্তু এটি আমাদের দায়বদ্ধতাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের দেওয়া রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “আমরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর মতো একটি অনন্য সাধারণ প্রকৌশলী নির্মাণ শৈলী উপহার দিয়েছি জাতিকে, এসব কারণে ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে সমর্থ হয়েছি আমরা। এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য, ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
“এই ৫০-এ, আমি আমার সমবয়সী প্রিয় বাংলাদেশের মতো নিজের সুবর্ণজয়ন্তীও উদযাপন করছি। কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার জন্ম হয়, আমার নাম রাখা হয়েছিল জয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই যুদ্ধে চূড়ান্ত জয় লাভের মাধ্যমে স্বাধীনতা রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এবং আমার জীবনের পথযাত্রা সমান ও সমান্তরাল, এই ভালোবাসার বন্ধন অবিচ্ছেদ্য।”
মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের এখনই সময় উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর নাতি সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, “স্বাধীনতার এ সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে, আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছি, যেখান থেকে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে আমাদের। এখনই সময় নিজেদের বিকশিত করার মাধ্যমে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।
“দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সন্মান জানাতে পারি। যাদের মহান আত্মদানের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদিত হয়েছে স্বাধীনতার সূর্য, আমাদের সেই পূর্বপুরুষদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করার উপযুক্ত সময় এখনই।”
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভুলে গেলে চলবে না- আমরা একটা ফুলের জন্য যুদ্ধ করেছি, একটি মুখের হাসির জন্য যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীরা যাতে এই ফুলকে নষ্ট করতে না পারে, কারও মুখের হাসি কেড়ে নিতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে।”
রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আহ্বান জানিয়ে জয় বলেন, “আসুন, সবাই মিলে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি। বিশ্বের বুকে মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করি। ভিশন ২০৪১ আপনাদের জন্যই।”