বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলছেন, দেশে মানুষের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যালঘুরা নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারছেন না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে তারা জীবন-যাপন করছেন। আর অন্যদিকে পবিত্র কোরান অবমাননা হচ্ছে। আপনারা কুমিল্লার পূজামণ্ডপের অবস্থা দেখেছেন। সরকার নাকি সমস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে। তাহলে এ ধরনের একটি ঘটনা কিভাবে ঘটল। আজকে যারা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ তারা বিএনপি নেতাকর্মীরা পাতালে থাকলেও তাদের খুঁজে বের করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে। আর কুমিল্লা, হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কিছুই বলতে পারল না।
আজ সোমবার সকালে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে যে ভয়-ভীতি ও নৈরাজ্যকর অবস্থা, সরকারই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। অত্যন্ত কৃত্রিমভাবে সারা দেশে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। কারণ করোনায় ব্যর্থতা, মানুষকে সুচিকিৎসা দিতে না পারা, মানুষের খাদ্য নিশ্চিত না করতে পারা, মানুষের জীবন-যাপন ও তাদের জীবনের নিরাপত্তা না দেওয়া এবং দ্রব্য মূল্যের যে ঊর্ধগতি একেবারে দিশে হারা অবস্থায়। সেগুলোকে মোকাবেলা করতে না পারার কারণে আজকে কৃত্রিমভাবে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যাতে মানুষের দৃষ্টি ওই দিকে যায়। মানুষ যেন ওইটা নিয়েই পড়ে থাকে। সরকারের এই সমস্ত ব্যর্থতাগুলো যেন মানুষ আলোচনা করতে না পারে। অর্থাৎ সরকার তার নীলনকশা অনুযায়ী কাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা একের পর এক আজেবাজে কথা বলেন, মিথ্যাচার করে সমাজের মধ্যে বিভেদ-বিভাজন সৃষ্টি করছেন। কয়েকদিন আগে ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না, তাদের আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই। আর গতকাল হাসান মাহমুদ ও ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন এই সমস্ত ঘটনার জন্য বিএনপি দায়ী।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকরা জানেন ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম নামক একটা রোগ আছে। যে রোগ হলে দুদিন আগে কি বলেছে, কি করেছে তা ভুলে যায়। আজকে ওবায়দুল কাদের সাহেব ও হাছান মাহমুদ সাহেবরা সেই রোগে ভুগছেন। অর্থাৎ তারা পরশুদিন যেটা বলছেন আজকে সেটার পুরোপুরি উল্টো কথা বলছেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে জনগণের পক্ষে, বিএনপি মানুষের পক্ষে কাজ করেছে। তাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে। জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেই ১৯ দফাকে ধারণ করেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন তাদের মানব সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম প্রমুখ।