প্রাইম টিভি বাংলা: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দুজন নেতার পদত্যাগ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল পলায়ন নিয়ে কথা বলেছিলেন। যেভাবে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দুজন পদত্যাগ করলেন, এতে মনে হচ্ছে বিএনপি থেকে এখন পলায়ন শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনিপি একসময় বহতা নদীর মতোই ছিল। যে নদী এখন শুকিয়ে গেছে, মরে গেছে।’
সোমবার সচিবলয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে না দেয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক জামিন না পাওয়া সত্ত্বেও বা আদালত থেকে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তাকে যে মহানুভবতা দেখিয়ে কারাগারের বাইরে রাখা হয়েছে মনে হয় সেটি ভুল হচ্ছে আমাদের।’
তিনি বলেন, ‘এখন সেটি আবার পুনর্বিবেচনা করতে হবে। আইন অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলখানায় ফিরিয়ে নেয়া হবে কিনা সেটি একটু চিন্তাভাবনা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সংসদের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির মন্তব্য নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিছু অপ্রিয় সত্য কথা সংসদে বলেছেন। তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন। এই রাজনৈতিক দলটিই জন্মই হচ্ছে অবৈধ যেটি হাইকোর্টও রায়ে বলেছেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছেন এটি বলাতে মির্জা ফখরুলদের গাত্রদাহ হচ্ছে, এটি খুবই স্বাভাবিক। কারণ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির প্রথম সারির নেতারা সবাই অন্য দল করতেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রিজভী আহমেদসহ এরা সবাই বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এটি বলাতেই তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে।’
‘আসলে বিএনপির সত্যটাকে মেনে নেয়া প্রয়োজন। অসত্যের ওপর দাঁড়িয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। তাদের নেতাদের শালীনতা শেখানোর জন্য আমি ফখরুলকে বলব,’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যখন ফোন করেছিলেন তখন কি রকম অশালীন ভাষায় খালেদা জিয়া কথা বলেছিলেন দেশবাসী দেখেছেন। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানানোর জন্য খালেদা জিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন কিন্তু খালেদা জিয়া দরজা খুলেননি, এটা কেমন শালীনতা? যারা এরকম অশালীন আচরণ করে তাদের মুখে শালীনতা শব্দটি মানায় না।’
বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের নেতৃত্বে এসময় নবনির্বাচিত কমিটির সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দফতর সম্পাদক মোসকায়েত মাশরেক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাহরাম খান, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন রাসেল, মাইনুল হোসেন পিন্নু, শাহজাহান মোল্লা, হাসিব মাহমুদ শাহ, শাহাদাত হোসেন রাকিব ও বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ইউএনবি