প্রাইম টিভি বাংলা : আইপিডিআই ( ইন্টারেকটিভ প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভস) ফাউন্ডেশন এশিয়ায় এই প্রথমবারের মতো আয়োজন করলো আন্তর্জাতিক কোভিড-১৯ হাইব্রিড (জুম ও লাইভ) কনফারেন্স ‘কোভিডকন ২০২১’।ফাউন্ডেশন পেশাগত গুনগত অর্জনের জন্য গত ২ বছর ধরে সচেতনতা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
শুক্রবার দুপুর ২.৩০ থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মহসীন আহমদ বলেন, বিশ্ব আজ কোভিডের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণে বিপর্যস্ত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত এনেছে। এই কনফারেন্স আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো কোভিড-আক্রান্ত রোগীদের সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে চিকিৎসক ও পেশাজীবীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানো এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ কিভাবে এই ভাইরাস কবলিত দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই ভাইরাস মোকাবেলা করার ব্যাপারে একটা সম্যক ধারণা পাওয়া।
আইপিডিআই-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীরা জুম কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞগণ কোভিড-১৯ বিষয়ক তাঁদের গবেষণা-প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, পেশাগত দক্ষতা এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞানই হলো ভাইরাস মোকাবেলা করার সবচেয়ে শক্তিশালী ব্রহ্মাস্ত্র। এই ক্রান্তিকালে আইপিডিআই এরকম একটি কনফারেন্সের উদ্যোগ নিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে। কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞগণ তাঁদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে আমাদের দেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবেন— এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেন তিনি।
পরিশেষে এই কনফারেন্সের অংশগ্রহণকারীদের পুরো আয়োজনটিকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং করোনাযুদ্ধের সামনের দিনগুলোতে এই কনফারেন্স বাংলাদেশের চিকিৎসক ও পেশাজীবীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে এমন আশা ব্যক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী।