লড়াই-ঐক্য-ভ্রাতৃত্বের বন্ধন- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। রঙিন বেলুন উড়িয়ে ডিআরই’র ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করীম। এরপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংগঠনের নবীন-প্রবীণ সদস্যদের নিয়ে কেক কাটেন।
বুধবার সকালে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে শুরু থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতারা যেভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেটি একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। মাঝে মধ্যে দু-একটি ছিঁটেফোটা ঘটনা ছাড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আমাদের যে আন্তরিকতার সম্পর্ক, সেটি বিনষ্ট করতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকগুলো ধাপ আছে, অনেকগুলো পদ আছে। কিন্তু একজন রিপোর্টার যে কাজগুলো করেন, সেটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রিপোর্টারের রিপোর্টার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের হাতে একটি ক্ষমতা আছে, তাদের কলমের ক্ষমতা যে কতে বড় সেটা হয়তো তিনি নিজেও অনুধাবন করতে পারেন না। যার কাছে ক্ষমতা নেই, তাকে ক্ষমতাবান করতে পারেন তারা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের বিস্তৃতির ফলে একইসঙ্গে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন এবং কিছু পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে; যেগুলো সাংবাদিকতা করে না, সেখানে অনেকে সাংবাদিক হিসাবে কার্ড নিয়ে সাংবাদিকতা করে না। তাদের কারণে মূলধারার সাংবাদিকদের বদনাম হয়। এখানে একটি শৃঙ্খলা আনা দরকার।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকবান্ধব সরকার। আমাদের সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে অনেক কাজ করেছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জায়গাটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে গণমাধ্যম। সুতরাং গণমাধ্যমের বিকাশ রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই দরকার। সে কারণেই লেখার স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
এর আগে ডিআরইউর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় ঢোল ও ঝুমুর নিয়ে শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
এ সময় ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন,বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ উপস্থিত ছিলেন।