মেসির জোড়া গোলে বার্সার শিরোপা উৎসব

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আগেই বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। গত সপ্তাহে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে লা লিগার শিরোপা স্বপ্নও কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এছাড়া বছরের শুরুতে স্প্যানিশ কাপের ট্রফিও ছোঁয়া হয়নি। তাই কোপা দেল রের ফাইনালটা কোনো অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না কাতালান জায়ান্টদের কাছে। অবশেষে সেভিয়ার লা কার্তুসা মাঠে মৌসুমে প্রথম শিরোপা উৎসব করলেন মেসিরা।
খালি হাতে লিওনেল মেসির দলকে ফিরতে হলো না। বরং দারুণ ছন্দময় ফুটবল খেলে বার্সেলোনার প্রথম ট্রফি জিতে নিয়েছে। ১২ মিনিটের ঝড়ে ফাইনালের প্রতিপক্ষ খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে! আর এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে কাতালানরা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিলো অ্যাথলেটিক বিলবাওকে। কোপা দেল রেতে বার্সেলোনাই সবচেয়ে বেশি ট্রফি জিতেছে। এবার নিয়ে ৩১ বার উঠেছে তাদের হাতে ট্রফি। অন্যদিকে অ্যাথলেটিক বিলবাও জিতেছে ২৩ বারের মতন।

ফাইনালের একাদশে ফেরেন জেরার্ড পিকে ও গ্রিজম্যান। তাদের নিয়ে প্রতিপক্ষকে শুরু থেকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। একের পর আক্রমণ গড়ে তটস্থ রাখে কাতালান জায়ান্টরা। বলের পজিশনে বেশিরভাগ সময়ে এগিয়ে থেকে তাদের অবশ্য গোল পেতে বেশ সময় লেগেছে। প্রথমার্ধে আক্রমণ গড়েও সফল হতে পারেনি কোম্যানের দল। বেশকিছু আক্রমণ বিলবাওয়ের ডিফেন্ডাররা রুখে দিয়েছেন। আর গোলকিপার উনাই সিমনও খারাপ খেলেননি।

ম্যাচের ৫ মিনিটে মেসির পাসে ডি ইয়ংয়ের প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দুই মিনিট পর ডেস্টের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ১১তম মিনিটে মেসির পাসে গ্রিজম্যান লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। ২৬ মিনিটে মেসির শট এক ডিফেন্ডার রুখে দেন।

বিরতির পর অবশ্য আক্রমণ অব্যাহত রেখে বার্সেলোনা সাফল্য পেতে শুরু করে। ৪৭ মিনিটে ডেস্টের ক্রস থেকে গ্রিজম্যান লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। এরপরে পেদ্রি ও বুসকেতসের শটও গোলরক্ষক সিমন রুখে দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন। ৬০ থেকে ৭২তম মিনিট পর্যন্ত বার্সেলোনা যেন বুলডোজার চালিয়েছে প্রতিপক্ষের ওপর। রীতিমতো যেন ঝড় বয়ে গেলো। এই ১২ মিনিটে গোল এসেছে ৪টি!৬০তম মিনিটে ডি ইয়ংয়ের ক্রসে গ্রিজম্যান বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন। ৬২তম মিনিটে ইয়ং নিজেই গোল পান। জর্দি আলবার লবে ডি ইয়ং নিচু হেডে ব্যবধান ২-০ করেন। ৬৮তম ও ৭২তম মিনিটে গোলের দেখা পান মেসি। প্রথমটি বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়ান মেসি। পরে সতীর্থের ক্রসে মেসি পা চালিয়ে দলকে ৪-০ তে এগিয়ে নেন।

মাঝেমধ্যে বিলবাও প্রতি আক্রমণে গোল করার চেষ্টা করে। তবে তারা সফল হতে পারেনি। বড় ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মার্সেলিনো গার্সিয়ার দলকে। অন্যদিকে বার্সার এই শিরোপা যেন বড় ধরনের স্বস্তি! ৭শ ৩১দিন পর দলটি ট্রফি জিতলো! একইসঙ্গে কোম্যানের অধীনে প্রথম ট্রফিও পেলো দলটি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title