সোনারগাঁও সংবাদদাতাঃ
সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে তার দ্বিতীয় স্ত্রী (তার ভাষ্যমতে) সহ অবরুদ্ধ করার ঘটনায় পরবর্তী হেফাজত কর্মীদের দ্বারা সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই নেতার বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও রয়েল রিসোর্টে ভাংচুর মামলায় করা এজহারভূক্ত ১২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ (৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার শান্তিনগর নুরানী মাদ্রাসায় গোপন বৈঠকের সময় গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে চরগোয়ালদি গোপিপাড়া গ্রামের ইউনুস ও পাঁচআনাী গ্রামের মন্নানের ছেলে ইকবালের নাম নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি সূত্র। তবে, গ্রেফতারের পর ইকবালকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও সূত্রটি জানায়।
এরআগে, বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে রাজু ও আবু রায়হান এবং মোক্তার হোসেনের ছেলে ইমরান, খাসনগর দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আকাশ। এরআগে রিসোর্টে হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁওয়ের বাংলাবাজার এলাকা থেকে মোস্তফা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনারগাঁওয়ে ভাংচুর, সহিংসতা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সোনারগাঁও থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তা বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫-৬শ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এছাড়া স্থানীয় এক সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় হেফাজত কর্মীদের ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।