পটুয়াখালীর দুমকিতে ইউ পি নির্বাচনে মুরাদিয়া ইউনিয়নে প্রচারণায় এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম মাষ্টার
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালী’র দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই সূচনাকালীন গণসংযোগে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার ( মাষ্টার) । তিনি অটোরিকশা প্রতীকে ভোট চেয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন।
মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদিয়া,উত্তর মুরাদিয়া, বোর্ড অফিস বাজার,চরগরবদী ফেরীঘাট সন্তেশদী,পঞ্চাইত বাজারসহ এলাকার সব কয়টি ওয়ার্ড তার বিচারন চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েকশ দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন তিনি । ইউনিয়নের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে ভোটের জন্য দরজার কড়া নাড়ছেন এবং সাড়াও পাচ্ছে। নাওয়া খাওয়া ভুলে গ্রামের একমাথা আরেক মাথা পর্যন্ত ছুটে চলছেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
অন্য দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে বেকায়দায় আছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রহমান সিকদার।
নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা যায়- আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের চেয়ে প্রচারণায় এগিয়ে আছে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এদিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন দলের প্রার্থীর জন্য কাজ করবেন না দলের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য কাজ করবেন।
সদা হাস্যজ্জল শিক্ষিত ও ন্যায়পরায়ন ব্যক্তি শাহ আলম মাষ্টার।
মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মোঃআনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, আমাদের ইউনিয়নে যত প্রার্থী চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের থেকে শাহ আলম মাষ্টার বেশি যোগ্য , তিনি শিক্ষক মানুষ, তার মার্জিত ব্যবহার আমাকেসহ সমাজের সবার মনকে মুগ্ধ করে।তার মতো যোগ্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাদের মুরাদিয়া ইউনিয়ন বাসীর জন্য খুবই প্রয়োজন। আমরা মতে তাকে একবার সুযোগ দেওয়া উচিত।
এবিষয়ে ৩ নং মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম হাওলাদার ( মাষ্টার) বলেন,
ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠনে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে রক্ষার লক্ষে মদ-জুয়া,ঘুষ-দূর্নীতি,এসিড সন্ত্রাস,যৌন হয়রানি ও বাল্য বিবাহরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি নিজেও সর্বদা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি এবং যাবো।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির জনকের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে মুরাদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল- কলেজ,মসজিদ-মাদ্রাসা,ঈদগাহ-কবরস্থান ও মন্দির কিংবা উপসনালয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে উন্নয়নের ধারাকে আরো গতিশীল ও ত্বরান্বিত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তার সাথে মুরাদিয়া ইউনিয়নকে একটি মডেল ও মানবিক ইউনিয়ন গড়ে তোলার জন্য সবাইকে নিয়ে কাজ করব।