নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে শামিল হওয়া আমার জীবনের প্রথম আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছিলো কোনও শক্তিই বাংলাদেশকে গোলাম বানিয়ে রাখতে পারবে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি আমার জীবনের সেরা সময়ের একটি। এ বছর বাংলাদেশ ভারত মৈত্রির ৫০ বছর পূর্ণ হবে। জাতির পিতার জন্মদিন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করছে।’
মোদি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। আমি সব ভারতীয়দের তরফ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ দেই। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও এখানের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তাকে গান্ধী শান্তি সম্মান দিতে পেরে গর্বিত।’
‘আজ স্মরণ করছি লাখো বাংলাদেশিকে। যারা নিজ দেশ, ভাষা, সংস্কৃতির জন্য অগনিত অত্যাচার সহ্য করেছেন, রক্ত দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বীরদের স্মরণ করি , সম্রণ করি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে, রফিকুদ্দিন আহমেদকে, সকল ভাষা শহীদদের। ভারতীয় সেনার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী, যারা মুক্তিযুদ্ধে নিজেদেরর রক্ত দিয়েছেন।’
মোদি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে একটি কথা মনে করাতে চাই। আমি ২০-২২ বছর বয়সে সত্যাগ্রহ করেছি। আমি সেসময় গ্রেপ্তার হই। প্রথমবারের মতো জেলে যাই। বাংলাদেশের জন্য এপারের মানুষ যেমন করেছে ওপারের মানুষও করেছে। পাকিস্তানিদের অত্যাচারারের ছবি দেখে ঘুমাতে পারতাম না। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না।’