রাজশাহী বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কোন্দা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুল পড়ুয়া ৯ বছরের এক শিশুকে একই গ্রামের আলহাজ মোঃ ওয়াহেদ মোল্লা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কোন্দা গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক হাজী মোঃ ওয়াহেদ মোল্লা একজন দুশ্চরিত্রের লোক। তিনি এবং তার ছেলেদের কু- আচরণে কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। ধর্ষক হাজী মোঃ ওয়াহেদ মোল্লা তার ১ম স্ত্রী থাকা অবস্থায় তার স্কুলের এক ছাত্রী কে একইভাবে বিবাহ করেন। তার স্ত্রী বাসায় না থাকা অবস্থায় গত বুধবার একই গ্রামের (একই পাড়ার) জনৈক ব্যক্তির মেয়েকে খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে শাসিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এবং ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য বলেন। ঘটনাটি প্রকাশ হলে তাকে প্রাণ মেরে ফেলা হবে বলে ও এমন হুমকি দেন। ধর্ষণের ফলে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে গ্রামের মসজিদের এক ইমাম বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি থানায় গড়ালে ২০মার্চ শনিবার বিকালে থানা পুলিশ ধর্ষন মামলাটি গ্রহন করে। জনৈক ব্যক্তির শিশু মেয়েটি বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে ও ভয়ে বিষয়টি ওই দিন পরিবারের কাউকে জানানি। শিশুটি আস্তে আস্তে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরে দিন গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি তার মাকে জানায়। শিশুর মা ঘটনাটি পরিবারের অন্য সদস্যদের জানালে তারা অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ ওয়াহেদ মোল্লার কাছে ঘটনাটির সত্যতায় জানতে চাইলে তিনি সত্যতায় শিকার করে এবং ওই অপরাধের ক্ষমা চান। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সুরাহা করতে বলেন। পরে শিশুটির পরিবারের লোকজন বিক্ষুদ্ধ হলে ধর্ষক পালিয়ে যান। শিশুর পরিবারের লোকজনের মুঠোফোন তার অপরাধের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চাওয়ার দৃশ্যটি দেখা গেছে। শিশুর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গ্রামের লোকজনদের জানালে তাদের সহায়তায় ঘটনাটি হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানানো হয়। পুলিশ ও শিশুর পরিবারকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়।সেই মোতাবেক শনিবার স্থানীয় গ্রামপুলিশ ও লোকজন শিশু সহ তার বাবা মাকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর বিকালে শিশুটির মা থানায় বাদী হয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আলহাজ মোঃ ওয়াহেদ মোল্লার কে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা করেন। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য শিশুটি কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি সম্পর্কে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মামলাটির বিষয় নিশ্চিত করা করে বলেন,ঘটনার পর থেকে আসামি পালাতক রয়েছে , তাকে গেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। এ রকম জঘন্য কাজের জন্য কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ও তিনি জানান।
মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা রাজশাহী প্রতিনিধি