সরকারের লোকেরা যে টাকা পাচার করেছে তা দিয়ে আরো ২২ টি পদ্মা সেতু করা যেত ….. এ্যাডঃ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও যুগ্ন মহাসচিব এ্যাডঃ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নেই,
মাঠে আছে সরকারের আওয়ামী নির্বাচন কমিশন লীগ, সরকারের পুলিশ বিভিন্ন গোয়েন্দা লীগ, মাঠে আছে তরকারী, পকেট মার লীগ, ছিনতাইকারী লীগ, নানা ধরনের সংগঠন সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন আরো সরকার শুধু উন্নয়ন, উন্নয়ন, করে চিৎকার করছেন এত উন্নয়ন করেছেন তিন হাজার কোটি টাকার রাস্তায়,লাগিয়েছেন ৪০ হাজার কোটি টাকা, ১০হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে লাগিয়েছেন ৩৫ হাজার কোটি টাকা, ব্যাংক থেকে পাচার করে হাজার হাজার কোটি । আপনার লোকেরা যে টাকা পাচার করেছেন সে টাকা দিয়ে ঐ রকম ২২ টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। তারা উন্নয়ন ও চেতনার কথা বলে। তিনি বলেন শেখ হাসিনার কৃতজ্ঞতা বোধ থাকা উচিত কারন ১৯৯৫ সালে আমরা সরকার গঠন করার পর আমি সহ তারেক রহমান, সেই সময় প্রধান মন্রী বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করেছি তাকে সম্মান দিয়েছি। আমরা ইতিহাস ভুলিনি আমরা সম্মান দেখাতে জানি আপনাদের সেই সম্মান বোধটুকু নেই।
তিনি আরো বলেন, আজকের আওয়ামী লীগের প্রধান জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে বলেছেন আমি ছাড়া সবাইকে কেনা যায়। এবং একথাও বলেছেন আমার বাবা হত্যার কান্ডের পরে কে কোথায় ছিল আওয়ামী লীগ কর্মীরা কোথায় আমার জানতে ইচ্ছে করে। যে নিজের ঘরের কাউকে বিশ্বাস করে না। তিনি তো অন্য কাউকে বিশ্বাস করবে না। গত দু’দিন পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাতে আমার মনে হয় সরকার বিরোধী দলকে ভয় পায়।পুলিশ আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন । কেন এত ভয়? যাকে ভয় পাবেন জিয়াউর রহমান তো কবরে, তারেক রহমান তো ৭ হাজার বর্গ মাইল দূরে, যাকে ভয় পান খালেদা জিয়া তো বন্ধী রেখেছেন। তিনি আপনাদেরকে ভয় পায়, কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মী সমর্থকদের ভয় পায় । তিনি সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন,
৫৬হাজার বর্গ মাইলের মধ্যে যে ত্যাগী নেতা কর্মী আছে তাদের ভয় পায় বলে বিএনপিকে কোনঠাসা করে রেখেছেন । তিনি বলেন,শেখ মজিবর রহমান এর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ ছিল না। সে সময় ছিল বাকশাল শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেছিলেন । সে-ই সময় বাকশাল গঠন করেছেনতিনি তিনি সেই কালো পাচারি, চাল চোরদের নিয়ে চাল চোর, গম চোর, কালো পাচারী নিয়ে তিনি বাকশাল গঠন করেছেন। সেই বাকশালের সদস্যও শেখ হাসিনা ছিলেন না।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিন শাখা বিএনপি’র কাউন্সিল ২০২১ এর প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন এর মির্জাপুর এলাকার কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য বিএনপি নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্ররায়ের নিজ বাড়িতে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা(দক্ষিণ) শাখা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর সঞ্চালনা ও উপস্থাপনায়,
কেরানীগঞ্জ উপজেলা(দক্ষিণ) শাখা বিএনপি’র সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এ্যাড. নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব এ্যাড.সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগ বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ , ঢাকা বিভাগ বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য নাজিম উদ্দীন নাজিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বাবুল, ঢাকা জেলা বিএনপির,সহ সভাপতি – টিম প্রধান মোহাম্মদ আলী।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগ বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বাবুল,ঢাকা জেলা বিএনপির,সহ সভাপতি – টিম প্রধান মোহাম্মদ আলী,এ্যাডঃ সুলতান নাসের,
নেতারা মাফিয়া সৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য নেতা কর্মীদের আহবান জানান।

এ কাউন্সিলে পূনরায় এ্যাডঃ নিপুন রায় চৌধুরী কে কেরানীগঞ্জ উপজেলা (দঃ) শাখা বিএনপি’র সভাপতি, মোজাদ্দেদ আলী বাবু’কে সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title