বগুড়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছেন, এ দেশ বঙ্গবন্ধুর বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে মাথা উঁচু করে দাড় করাতে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র ছেদ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌছে গেছে। এদেশ নিয়ে ওইসব অপশক্তির উপর ভর করা একটি গোষ্ঠী এখনো গভীরভাবে অতৎপরতা চালাচ্ছে।তাদের কোন শক্তিই বাংলাদেশের উন্নয়ন থামাতে পারবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াবে।
জাতির জনকের সোনার বাংলায় বেঈমান বিশ্বাস ঘাতকদের আর এদেশে বাস করার অধিকার নেই। ওই আগুন সন্ত্রাসী মীরজাফরদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিটা যোদ্ধা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেবেনা। তিনি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ কে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত দেশ গড়ার সফল যুদ্ধে গুজব জালাও পোড়াও আগুন সন্ত্রাসী লুটেরাদে অপকর্মের বিরোদ্ধে নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান।
৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বালেন্দায় ‘‘শস্যে চিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ” ফসল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু স্থান পরিদর্শন কালে এসময় উপস্থিত সফর সঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ, গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ড প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, ড. প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম, আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম তিথি, বগুড়া- ৫ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ, সহকারি কমিশনার ভুমি সাবরিনা শারমিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমির হামজা, ডা. মোঃ রায়হান পিএএ, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুস সাত্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ জামাল সিরাজী, ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা হতে আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনসাধারণ উপস্থিত ।
এ ব্যাপারে চিত্রকর্ম বাস্তবায়নকারী ন্যাশনাল এগ্রি কেয়ার কোম্পানির সহকারি ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তৈরি করতে বেগুনি ও সোনালি রংয়ের ধান বেচে নেয়া হয়েছে। চীন থেকে এই ধানের জাত আমদানি করা হয়েছে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লীর বালেন্দা গ্রামে ৪০ একর জমি লিজ নিয়ে ১০০ বিএনসিসি সদস্যের দল লে-আউট তৈরি করে চারা লাগানোর জন্য নির্ধারিত মাঠ প্রস্তুত করে। চারা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে ২৯ জানুয়ারি।
প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান বলেন, এই শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর আয়তন হবে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ হবে ৩০০ মিটার, যা হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র। কারণ সর্বশেষ ২০১৯ সালে চীনে তৈরি শস্যচিত্রটির আয়তন ছিল আট লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। তাই এই চিত্রকর্ম সম্পন্ন হলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাবে। এজন্য আগামী ২১ ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর’ ভিডিওসহ সব দালিলিক কাগজপত্র গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে, আর আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে উদ্বোধন করা হবে। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গিনেস বুকে স্থান পেয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে।