মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বর দেউলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে দুষ্প্রাপ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নবস্তু আবিস্কৃত হয়েছে। ৫ মাসব্যাপী ১০ একর ঢিবিতে উৎখনন কাজে ৮শ থেকে ১২বছরের প্রাচীন বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শন মিলেছে বলে জানিয়েছে খননকারী প্রত্নতাত্ত্বিক গভেশনা কেন্দ্র “ঐতিহ্য অন্বেষণ”। বুধবার দিনব্যাপি এসব প্রত্নখনন কার্যক্রম ও রঘুরামপুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
খনন কার্যক্রমের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০-২১অর্থবছরে ৫মাস ব্যাপি প্রত্নখননে ৮শ থেকে ১২শ বছরের প্রাচীন ২টি অষ্টকোণাকৃতির স্তূপ পাওয়া গেছে। যাকে কেন্দ্রে বিশেষ ধরণের স্তাপত্য ‘স্মারক কুঠুরি’ একটি দুষ্প্রাপ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার। যেখানে গৌতম বুদ্ধ বা তাঁর গুরুত্বপূর্ণ শিষ্যের দেহ ভষ্ম ও ব্যবহৃত জিনিস রাখা হতো। এর উপরের অংশ গোলাকার ও নিচের অংশ চতুষ্কোণাকৃতি। এছাড়া বৌদ্ধ স্তুূপের পাশে একটি সুরক্ষা দেয়াল আবিস্কৃত হয়ছে। এসব স্তুপে বৌদ্ধ ধর্মের দশর্নকে ফুটিয়ে তোলা নিদর্শন পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এ আবিষ্কার প্রথম।
প্রত্নখনন কার্যক্রম পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, ঐতিহ্য অন্বেষণ বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কর্মসূচি ‘কর্মসূচি পরিচালক’ ড. নূহ-উল-আলম লেনিন, গবেষণা পরিচালক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। পরে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার অপরেক আরেক প্রত্ন নিদর্শন রঘুরামপুরে বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহার প্রত্নস্থান জাদুঘর উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এ আবিস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি, আমাদের নতুন প্রজন্ম অতীত ইতিহাস জানতে পারবে। ভবিষ্যৎয়ে তারা ইতিহাসের সাথে মিলিয়ে জীবন যাপন করবে, দেশকে গরবে।