টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
এ দিন লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। ফলে সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৩৫টি। আর ১১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৯১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন কমেছে ৬১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৪ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ওয়ালটন, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২১১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।