সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে লালমনিরহাটে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় চত্ত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বার্তা বাজার পরিবার।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলো সাংবাদিক আবদুর রব সুজন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ডিফেন্স, প্রেসক্লাস এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মাসুদ, জেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর সভাপতি খোরশেদ আলম সাগর, সাপ্তাহিক আলোর মনি সম্পাদক মাসুদ রানা রাশেদ, পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম (পিজেএফ) এর আহ্বায়ক মাহফুজ সাজু, ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম লালমনিরহাট শাখার সভাপতি তন্ময় আহমেদ নয়ন, আদিতমারী প্রেসক্লাব এর প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজ্জাক, দৈনিক বাংলাদেশের খবর প্রতিনিধি এসকে সাহেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মুজাক্কির এর খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকরা জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজার জেলা প্রতিনিধি ও ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশের লালমনিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার আচার্য্য এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এলটিভির বার্তা প্রধান খুরশিদ আলম, আলোকিত সকাল পত্রিকার ব্যুরো প্রধান সুফিয়ান আল হাসান, কিউ টিভি এর জেলা প্রতিনিধি মিরাদুর রহমান প্রমূখ।
এছাড়াও লালমনিরহাট জেলা কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, পেশাজীবি আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের জনগণ এতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ভিডিও ধারণ করছিল দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি মুজাক্কির। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি পক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে ভিডিও ডিলেট করতে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় বাঁচাও বাঁচাও করে আকুঁতি করলেও কেউ তাকে রক্ষা করেনি। ভিডিও ডিলেটে অসম্মতি জানালে তাকে গুলি করা হয়। তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে।
মোঃ ইউনুস আলী,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি