অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড নামক যে টিকা বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে, এর প্রতিক্রিয়া খুব কম। টিকা দেওয়া স্থানে কিছুটা ব্যথা, জ্বর বা রাতে কাঁপুনি, বমি বমি ভাব, শরীর ব্যথা ছাড়া তেমন বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যেকোনো টিকা নিলেই এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। মারাত্মক কোনো অ্যালার্জি না থাকলে এবং বড় ধরনের কোনো জটিলতা থাকলে ভয়ের কিছু নেই।
টিকা নেওয়ার আগে করণীয়
করোনার টিকা নেওয়ার আগে আলাদা তেমন প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। এই টিকা অনেক নিরাপদ। এর পরও কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। যেমন—
♦ কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সে ধরনের খাবার টিকা নেওয়ার আগে থেকেই পরিহার করা ভালো।
♦ নিবন্ধনপত্রে সঠিক মেডিক্যাল হিস্ট্রি দিতে হবে।
♦ জ্বর থাকলে টিকা নেওয়া যাবে না।
♦ টিকা নেওয়ার আগে থেকে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
♦ যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা ডায়াবেটিসের খাদ্যতালিকা মেনে চলুন। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের যে ওষুধগুলো আছে সেগুলো যেন বাদ না যায়। এ ছাড়া অন্যান্য যে ধরনের ওষুধ খাচ্ছেন সবই খাবেন।
♦ টিকাকেন্দ্রে ঢিলেঢালা পোশাক পরে গেলে টিকা নিতে সুবিধা হয়।
♦ টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় সঙ্গে কাউকে নিয়ে যেতে পারেন। কোনো স্বজন পাশে থাকলে মনে সাহসের একটা জায়গা থাকবে।
টিকা গ্রহণের পর করণীয়
♦ টিকা নেওয়ার পর জ্বর বা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করুন।
♦ বমি দেখা দিলে অমিডন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
♦ বেশি জ্বর, ডায়রিয়া বা রাতে কাঁপুনি যদি হয়, সে জন্য জরুরি কিছু ওষুধ বাসায় রাখতে হবে। শারীরিক কোনো সমস্যা বোধ করলে চিকিৎসকের সঙ্গে অথবা স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরে যোগাযোগ করলেও পরামর্শ পাওয়া যাবে।
♦ বেশি করে পানি পান করুন। ফলের রস একটু বেশি পান করুন, সুষম খাবার খান, রাতের ঘুম যেন পর্যাপ্ত হয় সেটি নিশ্চিত করুন।
♦ দৈনন্দিন রুটিনে কোনো ওষুধ থাকলে চালিয়ে যান। যেমন—ডায়াবেটিসের ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, কিডনি রোগের ওষুধ ইত্যাদি।
♦ চা পানের অভ্যাস থাকলে চা পান করুন। স্বাভাবিক সব কাজকর্মই করুন।
♦ পরিবার নিয়ে বাইরে যেতে চাইলে সেটাও করতে পারেন। তবে টিকা গ্রহণের পর ২৪ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত বাসায় বিশ্রামে থাকা ভালো। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পর সাধারণত বড় কোনো সমস্যা মেলেনি।
♦ জরুরি বিষয় হলো, টিকা নিলেও করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। মাস্ক পরিধান করুন, নিয়মিত হাত ধোন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন।