১৪ ফেব্রুয়ারি: এক নজরে দেখে নিন এ দিনের ইতিহাসে

নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
রোববার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১ রজব ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৫৫৬: ১৪ বছর বয়সে আকবর মোগল সম্রাট হিসেবে হুমায়ুনের স্থলাভিষিক্ত হন।
১৮৫৫: টেক্সাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টেলিগ্রাফের মাধ্যমে যুক্ত হয়।
১৮৫৯: অরেগন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
১৯১২: অ্যারিজোনা যুক্তরাষ্ট্রের ৪৮তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
১৯১৯: পোলিশ-সোভিয়েত যুদ্ধ শুরু।
১৯৪৬: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জাতীয়করণ করা হয়।
১৯৭২: বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কানাডা ও ফ্রান্স।
জন্ম
১৪৮৩: বাবর, প্রথম মুঘল সম্রাট
১৯৩৩: মধুবালা, ভারতীয় অভিনেত্রী ও গায়িকা
১৯৪৪: সন্তু লারমা, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আদিবাসীদের নেতা মৃত্যু
১৭৭৯: জেমস কুক, ইংরেজ নাবিক
১৯৪৩: ডেভিড হিলবার্ট, জার্মান গণিতবিদ
১৯৮৩: ছাত্রনেতা জাফর, জয়নাল, দীপালি সাহা শহীদ হন
২০১৫: ফিলিপ লেভিন, আমেরিকান কবি ও একাডেমিক

১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি বিশ্বে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলাদেশেও বেশ কিছুদিন ধরে ভালোবাসা দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকেই এ দিনটি পালন করেন স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের ঘোষিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
সে বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয় ছাত্র সংগঠনগুলো।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত একটি কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ওই সমাবেশ ডাকে। কিন্তু সেখানে পুলিশ গুলি করলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সাবেক ছাত্রনেতা ও ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক মোশতাক হোসেন বলেন, ‘সেদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছিল বলে আমরা ধারণা করি। কিন্তু দু’জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাকি মৃতদেহগুলো গুম করে ফেলে। তাদের স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে স্বজনদের কোনো খোঁজ আর পাননি। ’

তবে, হতাহতের এ সংখ্যার বিষয়ে তখন সরকারিভাবে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। সে সময় অনেকে নিখোঁজ হয়ে যায়, পরে যাদের খোঁজ মেলেনি। ‘সেদিন থেকে এ দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস বলা হয়’, বলেন তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title