রাব্বি সরকার : চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি নরসিংদী পৌরসভার ভোট। এরই মধ্যে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা। বড় দু’দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, দু’দলেরই এবার নতুন প্রার্থী মেয়র পদে। আওয়ামীলীগের আছে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থীও। অন্যদিকে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে সঙ্কায় বিএনপি।
শহরের প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি ছেয়েগেছে নির্বাচনী পোস্টারে। নির্বাচনী আমেজ পুরো নরসিংদী পৌরসভা জুড়ে। এখানে মেয়র পদে লড়ছেন চারজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে আমজাত হোসেন বাচ্চু, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে হারুন অর রশিদ খান, ইসলামী আন্দোলন বাংরাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাত পাখা মার্কায় আসাদুল হক, স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোবাইল মার্কায় এস এম কাইয়ুম। তবে প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই টানা দু’বারের মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। নৌকার প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাত হোসেন বাচ্চু।
আমজাদ বাচ্চু বলেন, মামননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রার্থীর কাছে, অন্যসব প্রার্থীরা সেখানে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। এই মানুষ আত্মবিশ্বাস নিয়ে, মানুষের ভালোবাসায় অতীতের ন্যায় নৌকাকেই বিজয়ী করবে।
এদিকে দলীয় কোন্দল সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে ক্ষমতাশীনদের। নেতাকর্মীদের একাংশ মাঠে নেমেছে বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম কাইয়ুমের পক্ষে। প্রচার প্রচারণায় নানাভাবে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ তাঁর।
এস এম কাইয়ুম বলেন, বিভিন্ন মহল্লায় নৌকা প্রার্থীও যারা সমর্থক, বিশেষ করে মেয়র কামরুজ্জামানের লালিত পালিত সন্ত্রাসীরা আমাদের মোবাইল প্রতীকের কর্মীদেরকে নানান ধরনের হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে নতুন প্রার্থীর হাতে দলীয় প্রতীক তুলে দিয়েছে বিএনপিও। ভোট সুষ্ঠ হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ধানের শীষের প্রার্থী।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, এক হলো জাতীয়তাবাদী দলের একটি দুর্গ এখানে, তা আপনারা জানেন। দ্বিতীয়ত আমার বাবা এখানে চারবারের নির্বাচীত এমপি ছিলেন। আমি ভালো সাড়া পাচ্ছি।
এদিকে দিনরাত পাড়া মহল্লা মাতিয়ে রেখছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। উৎসবের পাশাপাশি ভোট নিয়েও কিছুটা উৎকন্ঠা আছে ভোটারদের মাঝে। ভোটাররা বলছেন, আমরা চাই সুষ্ঠ নির্বাচন। যেন জনগনের ভোটে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচীত হয়।
এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ভোট সুষ্ঠ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস তার। রিটার্নিং কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ বলেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা এখন মাঠে বিচরণ করছেন। সে সাথে প্রত্যেক প্রার্থীদের সাথেও আমরা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করছি। তারা যেন আচরণবিধি মেনে চলে।
নরসিংদী পৌরসভায় মোট ভোটার ৯৯ হাজার ৪শ’ ৫৪ জন। আগামী ১৪ই ফেব্রæয়ারি ব্যালটে ভোট নেয়া হবে।