গুলিভর্তি ম্যাগাজিন হাড়িয়ে ফেলায় এসআই সাময়িক বরখাস্ত

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ গুলিভর্তি ম্যাগাজিন হাড়িয়ে ফেলায় লালমনিরহাট সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালেকুজ্জামান বাদশাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (২৭জানুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( এ-সার্কেল) মারুফা জামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, খালেকুজ্জামান বাদশা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রবিবার (২৪ জানুয়ারী) রাতে কোনো মামলা ছাড়াই অন্য একটি জেলার অপহরন সম্পর্কিত জিডি নিয়ে অভিযানে যাওয়ার কারনে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং ওই ঘটনার পরে তার ম্যাগাজিন হাড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ।

জানা যায়, গত রবিবার রাতে শহরের কলেজ বাজার এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে যান এসআই বাদশা। ওই সময় রবিউল নামে এক ব্যাক্তিকে উঠিয়ে নিয়ে আসার সময় তার অপরাধ সম্পর্কে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ দেখতে চান স্থানীয়রা। তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ দেখাতে না পেরে পিস্তল উচিয়ে বলেন আমি ডিবি পুলিশ যে কোনো সময় আমরা যে কোনো ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করতে পারি। এই কথা বলার পরপরেই স্থানীয় জনগনের তোপের মুখে পড়েন সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর খালেকুজ্জামান বাদশা। অবস্থা বেগতিক দেখে  সেখান থেকে পালিয়ে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে এসআই বাদশা বলেন, রাজশাহী জেলার বাঘা থানায় অপহরন সম্পর্কিত একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ওই জেলার একটি মেয়েকে লালমনিরহাটে অপহরন করা হয়েছে। সেই সুত্র ধরে ঘটনাস্থলে যান খালেকুজ্জামান বাদশা। সেখানে পিস্তল উচিয়ে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন খুজে পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম যোগদানের পর থেকে এলাকায় চুরি , মাদক ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলমকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এক পুলিশ সদস্যর পিস্তল চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title