লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর সিন্দুর্না এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গ্রামীণ রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩৮ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ফলে চর সিন্দুর্নাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা চাপানী এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারায় খুশি।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর সিন্দুর্না এলাকার বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে হাতীবান্ধা হাট যাবার রাস্তা একটি পুরাতন ভঙ্গুর ব্রিজ থাকায় অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। ঐ রাস্তা দিয়ে উত্তর সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না ও চাপানী এলাকার কয়েক হাজার লোককে তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য উপজেলা সদরসহ হাতীবান্ধাহাটে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষাকালে তাদেরকে পড়তে হয় বিপাকে। উত্তর সিন্দুর্না বালাপাড়া স্কুল ৭ নং ওয়ার্ড সহ চর সিন্দুর্না ও চাপানী এলাকায় কয়েক হাজার লোকের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। ব্রিজ নির্মানের ফলে উপকৃত হয়েছে বানভাসি পরিবারসহ কয়েছে হাজার মানুষ।
প্রথম দিকে ব্রিজের উচ্চ নিয়ে এলাকাবাসী কিছুটা ঝামেলা করলেও পরবর্তীতে সঠিকভাবে কাজ বুঝিয়ে নেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ রাস্তায় ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে উত্তর সিন্দুর্না এলাকার বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে লোকমানের বাড়ি যাবার রাস্তায় ৩৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৯৪ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। উম্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ৩১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় সেই ব্রিজ নির্মানের কার্যাদেশ পায় জেলার আদিতমারী উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ফাতেমা কন্সট্রাকশন”।পরে “ফাতেমা কন্ সট্রাকশন” এর কাজ থেকে উক্ত কার্যাদেশ ক্রয় করে ব্রিজ নির্মাণ করে হাতীবান্ধা উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “মেসার্স মা আমিনা ট্রেডার্স।
উত্তর সিন্দুর্না এলাকার আবুল হোসেন (৬৫), বলেন, এই রাস্তায় একটি অনেক পুরাতন ব্রিজের উপর দিয়ে আমাদেরকে অনেক কষ্ট করে হাটবাজারসহ শহর-বন্দরে যাতায়াত করতে হয়েছে। বর্ষাকালে হাটবাজার করতে না পেরে অনেক সময় তাদের না খেয়ে থাকতে হয়েছে এই ব্রিজ নির্মাণের ফলে তাদের দুঃখ কিছুটা লাগব হলেও রাস্তাটি মেরামত করার দাবী জানান তিনি।
একই এলাকার মোমিনুর ইসলাম (২৭) ব্রিজ নির্মানে খুশি হলেও পুরাতন ৬০ ফিট ব্রিজ থেকে নতুন ৩৮ ফিট নির্মাণ করায় তার রয়েছে আক্ষেপ।
ব্রিজ নির্মানে সাব ঠিকাদার সেলিম হোসেনের কাছে যানতে চাইলে তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে বেট ও হিসাব নিকাশ করেই ব্রিজ নির্মানের কাজ শেষ করা হয়েছে। বন্যাকবলীত এ এলাকায় ভঙ্গুর রাস্তাঘাট ও সঠিক সময়ে নির্মাণ শ্রমিক না পাওয়ায় ব্রিজ নির্মানে কিছু বিলম্ব হয়েছে।
সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, উত্তর সিন্দুর্না এলাকায় ব্রিজটি নির্মাণ করার ফলে চরাঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার চাপানী এলাকায় কয়েক হাজার লোকের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রয়োজনীয় কাজ করতে যাতায়াত করতে অনেক সুবিধা হলো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, সরকারি শিডিউল মোতাবেক ব্রিজ নির্মানের সকল কাজ বুঝে নেয়া হয়েছে। এরফলে ঐ এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হবে।