নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে সায়রা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২২ নভেম্বর রোববার ১১ টায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে সায়রার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।পরে লাশের ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়।
ঘটনাটি কালিন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম বড়িশুর এলাকার মৃতঃ ভোলা হাজির বাড়িতে । নিহত সায়রা খাতুনের স্বামীর নাম মোঃ ফয়েজ হোসেন হৃদয়।
নিহতের পরিবারের দাবি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে সায়েরার।নির্যাতনের দায় এড়াতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত সায়রা খাতুনের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, একই ইউনিয়নের ভোলা মিয়ার ছেলে ফয়েজের সাথে আমার মেয়ের বিয়ের বয়স ৫ বছর। বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ নানা কারণে নির্যাতন করে আসছিলেন মেয়ের জামাইসহ শ্বশুরবাড়ির অন্য লোকেরা।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি শনিবার তার শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হয়। ওই রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় সায়রা খাতুন।পরদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরাতহল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিটফোর্ড পাঠানো হয়।
সায়ারা স্বামী ফয়েজ হোসেন জানান, তিনি বাসায় ছিলেন না। সে তাবলীগ জামাতে ছিল। সে এ খবর শুনে বাড়িতে আসে। তবে তার মায়ের সাথে ঝগড়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি, সে এ কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তার দাবী।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা তদন্তে বেড়িয়ে আসবে ।