বরগুনায় “রিফাত শরীফ হত্যা’ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ১১, খালাস ৩
এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এ রায়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির ৬ জনকে ১০ বছর করে, ৪ জনকে ৫ বছর করে, ১ জনকে ৩ বছর করে কারাদন্ডে দন্ডিত করেন ও ৩ জনকে বেকসুল খালাস দেন, রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন বরগুনা পুলিশ।
প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামিদের মধ্য থেকে মিন্নি সহ ৬ জনকে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত ও ৫০ হাজার করে টাকা জরিমানা করেন এবং ৪ জনকে বেকসুল খালাস দিয়েছিলেন বিজ্ঞ আদালত ।
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের মধ্যে মামলায় জামিনে থাকা আট শিশু চন্দন সরকার, নাযমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক, মারুফ বিল্লাহ্, রাতুল সিকদার, আরিয়ান হোসেন শ্রাবন ও বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা বাকি ছয় শিশু রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজী, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, ওয়ালিউল্লাহ্ ওলি, নাঈম ও তানভীর।
মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন বিজ্ঞ আদালত।
১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজী , রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, ওয়ালিউল্লাহ্ ওলি, নাঈম ও তানভীর।
৫ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন চন্দন সরকার, নাযমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, ও মারুফ বিল্লাহ ।
৩ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন প্রিন্স মোল্লা ।
মামলার সাথে সম্পৃক্ত না পাওয়ায় বেকসুল খালাস পেলেন মারুফ মল্লিক, রাতুল সিকদার, ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবন ।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবিরা বলেন আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
নিহত রিফাত শরিফের বাবা দুলাল শরিফ বলেন আমি এ রায়ে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
উল্লেখ্য, রিফাত শরীফকে গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রিফাত শরীফ নিজের পায়ে হেঁটে রিকশায় উঠে স্ত্রী মিন্নির সহযোগিতায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়। ওইদিনই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রিফাত শরীফ মারা যায়।