মনিরুল ইসলাম মনির : করোনার বিস্তার রোধে বহিরাগতদের ঠেকাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা শ্রীরায়েচর-বাংলাবাজার সেতুতে পাহারা বসিয়েছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ।
করোনা ভাইরাসে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ কয়েকটি জেলায় আশঙ্কাজনকভাবে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই মানুষ ভয়ে জলপথ ও স্থলপথে মতলব উত্তরসহ চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় আসছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পরই থানা পুলিশ তাদের পাহারা জোরদার করেছেন। চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা সীমানায় শ্রীরায়েরচর-বাংলাবাজার সেতুর পূর্ব পাড়ে দাউদকান্দি ও পশ্চিম পাড়ে মতলব উত্তর উপজেলা সীমানা। মতলব উত্তর উপজেলা বাগানবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নান্নু মিয়া, দাউদকান্দির উপজেলা পদুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম মনির হোসেন ও পাঁচগাছিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী থানা পুলিশের পাশাপাশি তাঁরাও বহিরাগত ঠেকাতে কাজ করছেন।
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নান্নু মিয়া জানান, করোনা ভাইরাস থেকে জনসাধারণকে রক্ষার জন্য সরকার নারায়নগঞ্জ, গাজিপুর, নরসিংদীসহ ঢাকার অনেকাংশ লকডাউন করেছেন। ওই সকল এলাকায় করোনার প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হওয়ায় সেখানে থাকা চ চাঁদপুর জেলার মানুষ সেখানের হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ভয়ে পালিয়ে নৌকা, ট্রলার, স্পিড বোড, ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্স এমনকি অটো বাইকে করেও চলে আসছে।
তিনি আরো বলেন, ভয়ে পালিয়ে আসা মানুষজন নারায়নগঞ্জ থেকে নদী পথে ও কুমিল্লার দাউদকান্দি হয়ে স্থলপথে মতলব উত্তর তথা চাঁদপুর ঢুকে পড়ছে। এর ফলে মতলব উত্তরে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মূলতঃ একারণেই জল ও স্থল সীমানায় পাহারা জোরদার করা হয়েছে। আশা করি এখন আর কোন বহিরাগত মতলব উত্তরে ঢুকতে পারবে না।
দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনির হোসেন বলেন, লকডাউন হওয়া জেলাগুলো থেকে হরহামেশা মানুষ আসছে। ট্রাকে মালামালের সাথে গোপণে মানুষও বহন করছে দাউদকান্দি ও মতলব উত্তর এক সীমানাবর্তী। মতলব উত্তরে দুইজন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় আমাদের দুর্চিন্তা বেড়েছে। তাই মতলব উত্তর থেকে যেনো কেউ আমাদের সীমানা প্রবেশ করতে না পারে সেই দিকে নজর রাখছি।
দাউদকান্দি উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মতলব উত্তরের সাথে দাউদকান্দির সীমান্ত রয়েছে। সেই সীমান্তগুলোকে করা নজরদারির মধ্যে রাখার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে। লকডাউন হওয়া জেলাগুলো থেকে যারা মতলব উত্তরে এসেছেন, প্রশাসন ও পুলিশের উচিৎ তাদেরকে খুঁজে বের করে হোম কোয়ারেন্টামে বাধ্য করা।
মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, কোনভাবেই জরুরী পণ্য বহন ছাড়া ট্রাক বা অন্যান্য মালবাহী গাড়িগুলোকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা। লকডাউন কার্যকর করতে আমার কাজ করছি।