ওবায়দুল ইসলামর রবি, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন সিটি হাটের বাইপাস এলাকা পরিত্যাক্ত ডোবা থেকে চালের ড্রামের মধ্যে অজ্ঞাতনামা একজন মহিলার অর্ধ গলিত মরাদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ মৃত ওই নারীর পরিচয় পেয়েছে এবং হত্যার রহস্য উধঘাটন করেছে। মৃত অজ্ঞাত নারীর নাম শ্রীমতি ননিকা রানী রায় (২৩)। ওই নারী ঠাকুরগাঁ জেলার মিলনপুর (গড়েয়া) গ্রামের বাবা শ্রী নিপেন চন্দ্র বর্মন এবং মাতা-শ্রীমতি শান্তি রানীর কণ্যা।
নাটের জেলার লালপুর থেকে রাজশাহী পুলিশ তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই) হত্যা ও লাশ গুম ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ ৪ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্য মূল আসামি পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকার (৪৩)। অপর আসামী কবির আহম্মেদ (৩০)। সে রাজশাহীর কাশিডাঙ্গা থানাধীন আদারী পাড়া গ্রামরে জয়নাল আবেদীনের ছেলে, অরজন মহানগরীর রাজপড়া থানা এলাকর শ্রীরামটিবাধ গ্রাসেমর নুরুল ইসলামের ছেলে সুমন আলী (৩৪)।
প্রসঙ্গত, গত ইং-১৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখ সকাল ১০.৩০ টার সময় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন রাজশাহী বাইপাস মহাসড়কে ব্রীজের নীচে কচুরীপানা যুক্ত পানিতে চালের ড্রামের মধ্যে অজ্ঞাতনামা একজন মহিলার অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া যায়। মৃতার গলায় কালো ওড়না দ্বারা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চাউল রাখার ড্রমের মধ্যে ভরে ফেলে যায়। পরবর্তীতে শাহমখদুম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার এবং মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতের লক্ষে মৃতদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। শাহমখদুম থানার এস,আই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পিবিআই) রাজশাহী আবুল কালাম আযাদ এর নির্দেশে পুলিশের একটি দল পরিচয় সনাক্ত করে। পরিচয় সনাক্তের পর পিবিআই, রাজশাহী টিম পাবনা ও নাটোর জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার মূল আসামী নিমাই চন্দ্র সরকার (৪৩) কে আটক করে। অভিযুক্তর পাবনা জেলার আতাইকুলা গ্রামের মৃত হেমান্ত সরকারের ছেলে। আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত দ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাহাদের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকার করেছে। অটকৃকতদের তথ্যের ভিত্তিতে মৃতদেহ গুম করার কাজে বহনকারী মাইক্রোবাস যার রেজিষ্টেশন নং-ঢাকা মেট্রো-গ-১৩-১৮২৮ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। মাইক্রোবাসের চালক নব মুসলিম আব্দুর রহমান (সঞ্জয়) -২৫, তার পিতার নাম শ্রী সতীশ রায়। রাজপাড়া থানাধীন বিলশিমলা গ্রামের বাসীন্দা।
প্রধান আসামীর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিযুক্ত কনেস্টবল নিমাই চন্দ্রের সাথে ননিকা রানী রায় প্রায় ৬-৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই নারী আসামী কে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্ত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তার এরিয়ে যায়। পরে সু-কৌশলে ভাড়া বাড়ীতে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্ধেশ্যে ঘটনাস্থলে ফেলে দেয়। আসামীদের প্রদত্ত্ব তথ্য মোতাবেক ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। ওই হত্যার সাথে জডিতদের পিবিআই আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গোলাম রহুল কুদ্দুস।