নিজস্ব প্রতিবেদক: হাটহাজারী, ঢাকা ও ব্র্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মী ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হতাহতের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (০২ এপ্রিল) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে হেফাজতে ইসলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে গত শুক্রবার শুরু হওয়া তিন দিনের নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সহিংতার পর হেফাজতের এই নতুন কর্মসূচিকে ঘিরে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গেলো শুক্রবার ও এর পরের তিন দিন হেফাজতে ইসলামের নরেন্দ্র মোদি বিরোধী কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যদিও হেফাজতের দাবি, এ সংখ্যা ১৮ জন।
কর্মসূচিকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারিতে। অভিযোগ রয়েছে হেফাজতের কর্মীরা এসব এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নি-সংযোগ করে।
তবে আজকের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। এরই মধ্যে কোনো সমাবেশে আসা বা ফেরার পথে কোথাও মিছিল হবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সংগঠনটির ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের ফেসবুক পেজে বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়। সেখানে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের নির্দেশনার পাশাপাশি আরো দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এগুলো হলো- কোথাও কোনো সমাবেশে আসা বা ফেরার পথে মিছিল হবে না এবং নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে।
হেফাজতের আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচির ধরন জানিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মামুনুল হক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‘পূর্বঘোষিত ওই বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বাদ জুমা সমাবেশ হবে। সমাবেশে আসা বা ফেরার পথে মিছিল হবে না। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে।’
গত রবিবার (২৮ মার্চ) দিনব্যাপী সহিংস হরতাল পালন শেষে বিকেলে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী আজকের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।