৮৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারকে ঈদ-উপহার পাঠাবে ডিএনসিসি

ঢাকা : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজস্ব তহবিল থেকে ডিএনসিসির ৮৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারকে ঈদ-উপহার পাঠানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় তিনি এ কথা জানান।
৫৪ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের প্রত্যেকের মাধ্যমে ১ হাজার করে মোট ৭২ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার বিতরণ করা হবে। এছাড়া অন্যান্যের মাধ্যমে আরো ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ-উপহার বিতরণ করা হবে। ঈদ-উপহারের প্রতিটি প্যাকেটে চিনি ১কেজি, সুজি ৫০০গ্রাম, মুসুর ডাল ১কেজি, মিনিকেট চাল ২কেজি, ময়দা ১কেজি ও গুড়া দুধ ২৫০গ্রাম থাকবে। যে সকল পরিবার ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা, ওএমএস কার্ড এবং অন্য কোনো ভাবে ত্রাণসামগ্রী পাননি মেয়র তাদের মাঝে এসকল ঈদ-উপহার বিতরণ করার নির্দেশ দেন। কোনো পরিবারকে যেন একাধিকবার ঈদ-উপহার দেয়া না হয় সেজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে এসব ঈদ-উপহার বিতরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকবেলায় চলমান অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সভায় আতিকুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসি এলাকার ১ হাজার ৮৯০টি মসজিদের ইমামদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ঈদ-উপহার ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে যেভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমদেরকে অক্ষরে-অক্ষরে পালন করতে হবে। তিনি আরো জানান, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। সকল ত্রাণসামগ্রী বা ঈদ-উপহার স্বচ্ছতার সাথে বিতরণ করতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য রাজস্ব আদায় বন্ধ আছে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রসারিত এলাকার কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ অবিলম্বে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এডিস মশা প্রতিরোধে চলমান চিরুনি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিরুনি অভিযান’ জনগণের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসা-বাড়ি, ভবন, নির্মাণাধীন স্থাপনা ছাড়াও যে কোনো প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদের নামাজের জামাত প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাসে গণসংক্রমণ রোধে কোনো অবস্থাতেই বাইরে ঈদের জামাতের আয়োজন করতে দেয়া যাবে না। এজন্য সকল কাউন্সিলরকে তিনি সচেতন থাকার নির্দেশ দেন। সভায় সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title