নিজস্ব প্রতিবেদক: যাত্রীবাহী বাস ২৯ এপ্রিল থেকে চালুর চিন্তা করছে সরকার জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লকডাউন শিথিল হলে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে সমন্বয় করা ভাড়ায় চালুর সর্বাত্মক চিন্তা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকবে।
বাসের চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এলেও ২৮ এপ্রিল ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন শেষে লঞ্চ ও ট্রেন চলবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে। সরকার অনুমতি দিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৯ এপ্রিল থেকে ট্রেন চলবে। লঞ্চ চালুর বিষয়ে একই কথা বলেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশে ৩০ মার্চ থেকে অর্ধেক আসন খালি রেখে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন শুরু করে গণপরিবহন। ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। লকডাউনে আওতামুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতে ৭ এপ্রিল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ৫ এপ্রিল থেকেই বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। ১৪ এপ্রিল ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন শুরুর পর সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, তারা এখনো স্পষ্ট করে জানেন না, ২৯ এপ্রিল থেকে দুরপাল্লার বাস চলবে কি না। নাকি আগের মতোই শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। এ বিষয়টি পরিষ্কার হতে তারা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও দূরপাল্লার বাস চলবে কি না এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিআরটিএ সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, ঈদ সামনে তাই দূরপাল্লাসহ সব ধরনের বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থাৎ অর্ধেক আসন খালি রেখে চলতে হবে।