নিজস্ব প্রতিবেদক: সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত “আশ্বাস: মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের জন্য” প্রকল্পের মাসব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে দেশের চার জেলায় আয়োজন করা হয়েছে ‘সচেতনতামূলক কনসার্ট ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন’। ইতোমধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরে মানব পাচার প্রতিরোধ ও সারভাইভারদের সুরক্ষা কার্যক্রমের এই আয়োজন সফলভাবে শেষ হয়েছে। আগামী ২৭ মে (শনিবার) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজনের সমাপনী কনসার্ট।
উইনরক ইন্টারন্যাশনালের এই মানব পাচার বিরোধী প্রচারণার সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট অনুষ্ঠিতব্য কনসার্টের্ অংশ নেবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, এমপি এবং ব্যান্ড ‘মাদল’। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মানব পাচার বিরোধী একটি ‘পট গান’ এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা, সমাজে মানব পাচারের শিকার সারভাইভারদের অধিকার বিষয়ক উইনরক ইন্টারন্যাশনাল প্রণীত প্রামাণ্যচিত্র ‘আগুন পাখি’ প্রদর্শন করা হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত কনসার্টটি বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
বিজ্ঞাপনী সংস্থা কুল এক্সপোজারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গত ৪ মে খুলনায় এই আয়োজনের উদ্বোধনী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতশিল্পী চন্দনা মজুমদার ও ব্যান্ড ‘ডিফারেন্ট টাচ’। একই ধারাবাহিকতায় ৭ মে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত কনসার্টে ছিলেন চন্দনা মজুমদার ও সন্দীপন। ১০ মে যশোরে অনুষ্ঠিত কনসার্টে গান পরিবেশন করে ‘জলের গান’ ও সন্দীপন। প্রতিটি আয়োজনেই উইনরক ইন্টারন্যাশনাল প্রণীত প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়।
প্রতিটি কনসার্টে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে যশোরের কনসার্টটি জনারণ্যে পরিণত হয়। প্রতিটি কনসার্টে সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার কমীর্সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ‘আশ^াস’ প্রকল্পের সারভাইভারগণ উপস্থিত ছিলেন। মানব পাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার এমন অভিনব উদ্যোগ দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এমন উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি শিল্পীদের সঙ্গে মানব পাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ করেন তারা।
উল্লেখ্য, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল সুইজারল্যান্ড—এর সহায়তায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও সারভাইভারদের সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে “আশ্বাস” প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি ২০১৮ সাল থেকে দেশের মানব পাচারের ঝুঁকিপ্রবণ পাঁচটি জেলার ১৫টি উপজেলায় মানব পাচার বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।